নকশা আধুনিকায়ন ও নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারীচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান করার দাবী জানিয়ে সারাদেশে ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান ও ইজিবাইক বন্ধের স্বরাস্ট মন্ত্রীর ঘোষনা প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবী জানিয়ে ঘন্টাকাল ব্যাপি শহরের প্রাণ কেন্দ্র সদররোড সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে রিক্সা, ব্যাটারী রিক্সা, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলা কমিটি। মঙ্গলবার (২২ই) জুন, সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদররোডে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আবুল মানিক হাওলাদারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাদস সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী, বাসদ জেলা আহবায়ক ইমরান হাবীব রুমন, নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি মাস্টার আবুল হাসেম, দুলাল মল্লিক, মানিক মিয়া, মহশিন মীর, শহিদুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও কালাম মিয়া প্রমুখ। এসময় বাসদ সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী প্রধান অতিথির বক্তব্যতে বলেন, স্বরাস্ট্র মন্ত্রী ৫০ লক্ষ মানুষের রুটি রোজি কেড়ে নেওয়ার আইন করেন। ৫০ লক্ষ মানুষের পেটের ক্ষুদা বন্ধ করার জন্য কি আইন করেছেন? আপনারা বলেন দেন এসকল শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যদের পেটে ক্ষুদা দেখা দিলে তাদের জেলে ভরে দেওয়া হবে। আপনারা সংসদে বসে বিভিন্নইয়াবা সহ মাদকের লাইসেন্স দিতে পারেন। কিন্ত একটা রিকসার ডিজাইন-নকসা তৈরী করতে পারেন না। তাহলে দেশের মানুষকে ক্ষুদাত্ব রেখে কি করে দেশের ডিজিটাল করবেন। তাই স্বরাস্ট্র মন্ত্রী তার বক্তব্য দ্রুত প্রত্যহার করে না নিলে আগামীতে বরিশালে হরতাল সহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে শ্রমিক সংগঠন। এসময় তারা সরকারকে বলেন, আপনারা ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ করার আগে প্রতিটি চালক এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা করে লোন নিয়ে গাড়ি বানিয়েছে সেই টাকা পরিশোধ, করা সহ ৬ মাসের পরিবারের খোরাক ও নতুন কোন কর্মসংস্থানের পূর্বে ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান ও ইজিবাইক বন্ধ করা চলবে না। এর পূর্বে বরিশাল নগরীর ত্রিশটি ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শ্রমিক-চালকরা সদররোডে এসে সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করে কয়েক হাজার ব্যাটারী চালিত, ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। সমাবেশ শেষে পরে নগরীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ প্রদশর্ন করে পুনরায় টাউন হলের সামনে এসে শেষ হয়।