ব্যাটারিচালিত রিকশাকে অনিরাপদ ঘোষণা করে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেকার হয়ে পড়েছেন রিকশা শ্রমিকরা। তারা দাবি তুলেছেন, রিকশাকে নিরাপদ করার। সরকার চাইলে রিকশাগুলোকে নিরাপদ করতে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, আমাদের কিছু রিচার্জ আছে। এই ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো নিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজি ডেভেলপ করা প্রয়োজন। ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোর ডায়ামিটার কী হওয়া উচিৎ, ব্রেক কেমন হওয়া উচিৎÍসেগুলো স্টাডি করে হুইলগুলো ডিজাইন করা, ব্রেকিং সিস্টেমটা ডিজাইন করা,স্পিড লিমিট তৈরি করা প্রয়োজন।
মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শেখ রিয়াজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পরিকল্পনায় কিছু যায় আসে না। আমরা পরিকল্পনা করলে কী লাভ হবে? আমাদের পরিকল্পনার কোনও দাম আছে? সরকার চাইলে আমরা হেল্প করতে পারি। বিআরটিএ চাইলে হেল্প করি। আমাদের সাহায্য না চাইলে আলাদাভাবে পরিকল্পনা দেওয়ার সুযোগ নেই।
মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ হোসাইন বলেন, অটোরিকশাগুলো একটা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এগুলো স্থানীয়ভাবে তৈরি হচ্ছিল। বাংলাদেশে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি খুব একটা ভালোভাবে তৈরি হয়নি। আর এই রিকশা উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা ধীরে ধীরে আরও বড় অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির দিকে এগিয়ে যেতে পারতাম। এই রিকশাগুলো যথেষ্ট পরিবেশবান্ধব। কারণ এগুলো ব্যাটারি চালিত। নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে আমরা এগুলো চালাতে পারছি। দুর্ঘটনা ঘটার যে প্রবণতা সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর এগুলো নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিৎ।