শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

মতলব উত্তরে কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের প্রণোদনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নে করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্থ কর্মহীন, দুস্থ, অসহায় দরিদ্র পরিবারকে সরকার কর্তৃক দেওয়া প্রণোদনার টাকা ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা আত্মাসাত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৫ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কলাকান্দা ইউপির সাতজন ইউপি সদস্য কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ও অসহায় পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রতিটি পরিবারের মাঝে ৫০০ টাকা করে বিতরণ করার কথা। কিন্তু প্রতিটি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদেরকে ২০ টি করে ও মহিলা সদস্যদের ১৫টি করে নাম দিয়ে বাকী নামের তালিকার টাকা সুভা চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন। তার আত্মীয় স্বজনের পরিবারের একাধিক সদস্যদের নাম দিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভার দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য মাহফুজ সরকার, ওয়ালী উল্লাহ, মোতালেব হোসেন, আহাদ উল্লা, শিউলী বেগম, সাবিনা ইয়াসমিন ও তাহমিনা আক্তার গংদের আরো অভিযোগ, প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে মাসিক সভা, ইউডিসি সভা, স্থায়ী কমিটির সভা, ওয়ার্ড সভা, বাজেট সভাসহ সকল প্রকার সভা হওয়ার কথা থাকলেও কোন সভার আয়োজন না করে নিজের মতো করে মেম্বারদের স্বাক্ষর নকল করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে নিতেন। টিআর, কাবিখা প্রজেক্ট দেখিয়ে কোন কাজ না করিয়া টাকা উত্তোলন করেন। সকল প্রকার সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি ও শায়ত্বশাষিত কেন্দ্রের মাধ্যমে যেসকল অনুদান প্রদান করা হয়, তা মেম্বারদের সাথে কোন প্রকার সমন্বয় না করে নিজের মতো করেই প্রদান করতেন। ২০২০-২১ অর্থ বছরে কাবিখা, টিআর, এডিপি ও হতদরিদ্রের প্রজেক্টের কাজ ১ ইউপি সদস্য দ্বারা করিয়ে অন্য ইউপি সদস্য দ্বারা টাকা উত্তোলন করে চেয়ারম্যান সুভা আত্মসাৎ করেন। সকল প্রকার সামাজিক সহযোগীতা যেমন, ভিজিডি, ভিজিএফ, জেলেদের ত্রাণ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা সহ সকল প্রকার তালিকা ও বিতরণ নিজের মতো করেন। ভিজিডি কার্ডের প্রতি মাসের প্রতি জনের ২০০ টাকা হারে ২৪ মাসে ৪ হাজার ৮০০ টাকা হওয়ার কথা। সেখানে দেখা যায় অনেকের বইয়ে টাকার পরিমাণ অনেক কম উঠেছে, যা তিনি নিজে আত্মসাৎ করেছেন। সুভা চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে জনতার নিকট বকেয়া হোল্ডিং কর আদায় করে তাহা ব্যাংকে জমা দিয়ে সেখান থেকে পূর্ব নির্ধারিত টাকা ইউপি সদস্যদের ভাতা প্রদান করার কথা কিন্তু তিনি সদস্যদের বিগত দিন ইতে এই পর্যন্ত কোন ভাতা প্রদান করেন নাই। ইউপি সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর হইতে অদ্যবদি পর্যন্ত ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়া না করে কমিটির সদস্য সভাপতিদের ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে স্বাক্ষর নিয়ে আসতেছে, যা একেবারে বে আইনী। ইউপি সদস্যদের সাথে কোনরকম সমন্বয় না করেই তিনি বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে নিজের মনগড়া চালিয়ে নিচ্ছেন। তার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে বা প্রতিবাদ করলে মামলা হামলা ভয়ভীতি দেখায়। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের এলজিএসপি-৩ সৃজনের নামে বেনামে হত দরিদ্রের বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে তাহার নিকট আত্মীয় তাহার ব্যক্তিগত জায়গায় ব্যয় বহুল ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনার কার্যালয় নির্মাণ করেন। তিনি শুধু মেম্বারদরে সাথেই খারাপ আচরণ করেন না, ইউনিয়নের নিরীহ জনসাধারণের সাথে খারাপ আচরণ করতেন ও নিরীহ লোকের উপর শারীরিক নির্যাতন করতেন। গ্রাম পুলিশদেরকেও তিনি বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন। গ্রাম্য বিচার চলাকালীনও মানুষকে হয়রানি ও নির্যাতন করেছেন।
তার এহেন কার্যক্রমে ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি অপরাজনৈতিক, ক্ষমতার অপব্যবহার ও তার নিজের এলাকায় বিভিন্নদের সাথে বিভিন্ন সময় উশৃঙ্খলা করেন বলেও অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা। এ ব্যাপারে কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভার সাথে কথা বলতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করি নাই। সবগুলো ওয়ার্ডে এক সমান জনগণ নেই। কিছু ওয়ার্ডে কম, কিছু ওয়ার্ডে বেশি। এভাবে সমন্বয় করে টাকা দিয়েছি। তিনি বলেন, যা কিছু হচ্ছে তা আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে করছে। ইউপি সচিব শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, প্রথম ধাপে আসা ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করেছি। আর পরের ধাপে আসা টাকা বিতরণ করার জন্য রেডি করে করে রেখেছি। পুর্বের বিতরণের কোন মাস্টারোল তিনি দেখাতে পারেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান বলেন, আমার দপ্তরে একটি অভিযোগ জমা হয়েছে। লকডাউন শেষে অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হলে তা খতিয়ে দেখা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com