২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারী রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ চালুর আনন্দ শোভাযাত্রায় পার্বত্য চট্টগ্রামের উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় নির্মমভাবে খুন হওয়া শহীদ মনিরের খুনিদের এখনো পর্যন্ত আইনের আওতায় আনতে নাপারায় সংশ্লিষ্ট্যদের তীব্র সমালোচনা করে অবিলম্বে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের একটি হল শহীদ মনিরের নামে নামকরণসহ মনিরের হতদরিদ্র পরিবারকে পুনঃর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারী) দুপুরে রাঙ্গামাটি মেডিকেলের সামনে শহীদ মনিরের আত্মত্যাগ স্মরণে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারী রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ চালুর আনন্দ শোভাযাত্রায় পার্বত্য চট্টগ্রামের উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএসের ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) এর সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে খুন হয় মনির হোসেন। তার আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাঙ্গামাটিতে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ বছরেও সে হত্যার বিচার হয়নি। তার সে অবদানের কথা আজ কারো মনে নেই। মনিরের পরিবারকেও দেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে কোন সুযোগ সুবিধা। তাই মনিরের অবদানকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য মেডিকেল কলেজের একটি হল শহীদ মনিরের নামে নামকরণ করাসহ তার পরিবারকে সরকারি চাকরি দেওয়া ও পুনর্বাসন করার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। উক্ত কর্মসূচীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজের সভাপতিত্বে ও পৌর সভাপতি মো: পারভেজ মোশারফ হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পিসিএনপির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, শহীদ মনিরের মা কমলা বেগম, পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলার উপদেষ্টা কামাল উদ্দিন, পিসিএনপি রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, নানিয়ারচর উপজেলা সভাপতি এমএ জলিল খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ(পিসিসিপির) কেন্দ্রীয় সি: সহ-সভাপতি আসিফ ইকবাল, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মো: খলিলুর রহমান, সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, পৌর সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু’সহ প্রমুখ। সমাবেশে বক্তরা বলেন, অপার সম্ভাবনাময়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা বিস্তারের কর্মসূচি বাংলাদেশ সরকার যখনই হাতে নেয় তখনই এই জেএসএস নামধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এই বাঁধা শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রে নয়, সড়ক যোগাযোগ, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও সামাজিক অগ্রগতিসহ সব ক্ষেত্রেই বাঁধা দান করে এই উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি। একই সময়ে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়ও জেএসএস (সন্তু) সন্ত্রাসীরা বাঁধা সৃষ্টি করেছিলো, তারা তাদের ছাত্র সংগঠন পিসিপিকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে সেসময়ে তারা শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের হুমকি দিয়েছিলো, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে আধুনিকতা ও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে তাদের দমিয়ে রেখে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার করে ত্রাস সৃষ্টি করে রাখতেই শিক্ষা বিস্তারে ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাঁধা প্রদান করে আসছে পাহাড়ের এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি। সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা শাখা জোর দাবি জানায় অবিলম্বে ‘শহীদ’ মনির হোসনের নামে মেডিকেল কলেজের একটি হলের নামকরণ করতে হবে এবং তার পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে ও একই দিন জেএসএস সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরতর আহত জামাল হোসেনকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এবং অবিলম্বে মেডিকেল কলেজ এর স্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে, অন্যথায় পিসিসিপি আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।