মানিকগঞ্জে মাশরুমের গুরুত্ব ও উৎপাদন কৌশল নিয়ে দলভূক্ত চাষীদের দুইদিনের প্রশিক্ষন কর্মশালা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষন হলরুমে কর্মশালার উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সাইফুল আলম।
এসময় অতিরিক্ত পরিচালক মো: এনায়েত উল্লাহ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ, মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড.মুসাম্মৎ আক্তার জাহান কাকন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মো: ইমতিয়াজ আলম উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সাইফুল আলম বলেন, মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধিগুণসম্পন্ন একটি খাবার। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসি অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই খাবারটি স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণের কারণে ইতোমধ্যেই সারাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাশরুম চাষের গুরুত্ব, গুণাগুণ, চাষাবাদ পদ্ধতি, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ প্রণালী এবং খাদ্য হিসেবে এর রকমারী ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীগণকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিপূর্বক অপ্রচলিত ফসল মাশরুমকে সারাদেশে জনপ্রিয় পুষ্টিহীনতা দূরীকরণ ও দারিদ্র্য বিমোচন তথা আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সহায়তা প্রদানে সম্পৃক্ত করাই এই প্রশিক্ষন কর্মশালার উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাশরুমের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাছাড়া এটি একটি পুষ্টিকর ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন খাবার হওয়ায় এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা থাকায় মাশরুম চাষ আমাদের দেশের পুষ্টি সমস্যা সমাধান ছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে মাশরুম বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বর্তমানে মাশরুম চাষে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেকার যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকল শ্রেণির মানুষ এমনকি প্রতিবন্ধীরা ও মাশরুম চাষকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। এজন্য এদেশের মানুষকে মাশরুম উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ করে তোলা জরুরী। মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের আয়োজনে প্রশিক্ষন কর্মশালায় জেলার তিনটি উপজেলার ৩০ জন নারী-পুরুষ প্রশিক্ষনার্থী অংশ নেয়।