বছরখানেক আগে আয়া সোফিয়াকে মসজিদে পরিণত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান। কিন্তু এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট নিয়ে জাতিসঙ্ঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আয়া সোফিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। কিন্তু তুরস্ক জানিয়েছে, ইউনেস্কোর এই মনোভাবে তারা খুবই অবাক হয়েছে। তাদের মতে, এই মনোভাব পুরোপুরি ‘রাজনৈতিক ও পক্ষপাতপূর্ণ’।
তুরস্কের দাবি: তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, মসজিদ করা হলেও এই ঐতিহাসিক ভবনের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। এই সিদ্ধান্তের কোনো নেতিবাচক প্রভাব ভবনের উপর পড়েনি।
ইউনেস্কো ‘ইস্তানবুলের ঐতিহাসিক অঞ্চল’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। সেখানেই তারা আয়া সোফিয়া নিয়ে গভীর চিন্তার কথা জানিয়েছে। কিন্তু তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, আয়া সোফিয়া নিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা মেনে নেয়া যায় না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই নিবন্ধ লেখা হয়েছে।
তুরস্ক সরকার জানিয়েছে, জাতিসঙ্ঘ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় থাকা ঐতিহাসিক ভবন নিয়ে সরকারের দায়িত্ব, অধিকার ও ক্ষমতা সম্পর্কে তারা সচেতন। প্রেসিডেন্ট এরদোগানও শনিবার টুইট করে বলেছেন, তুরস্কের সভ্যতার যে আবার সূর্যোদয় হচ্ছে, আয়া সোফিয়া তারই প্রমাণ। তার আশা বিশ্বের শেষ দিন পর্যন্ত এর অন্দরে মুসলিমদের প্রার্থনা অনুরণিত হবে।
ইউনেস্কো কী চায়: চীনে এখন ইউনেস্কোর বার্ষিক বৈঠক চলছে। তারা আয়া সোফিয়ার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে তুরস্কের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে। ইউনেস্কোর কমিটি জানিয়েছে, তাদের কাছে বেশি তথ্য নেই, এনিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়নি। তাই তারা এই বিষয়ে তুরস্কের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে এবং তারা চায় আন্তর্জাতিক স্তরে এটা নিয়ে আলোচনা হোক। সূত্র : ডয়চে ভেলে