গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ভুয়া চিকিৎসক সেজে সেবা প্রদান করার অভিযোগে জালাল উদ্দিন নামে একব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে সরকার নির্দেশিত লকডাউনের মাঝে মাস্ক পরিধান না করে অহেতুক ঘোরাঘুরি ও আড্ডা দেয়ায় বিভিন্নজনের নিকট থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের চালা বাজারে বিভিন্ন স্থানে গত রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাঃ ইসমত আরা’র নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এ সময় বাইরে অহেতুক ঘোরাঘুরি করা ব্যক্তিদের থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়, যাদের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যায় তাদেরকে অধিক জরিমানা করা হয়। এছাড়া সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তাঘাটে অহেতুক ঘোরাফেরা করা, মাস্ক পরিধান না করা, টেলিভিশন চালিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়া ব্যক্তিদের নিকট থেকে ২০টি মামলায় ৯ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ আইন ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দেয়া হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘাগুটিয়া চালাবাজারে জালাল উদ্দিন নামে একজন ব্যক্তি জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পাশ করে মায়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে মহিলা ও শিশুদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদানের প্রমান পায়। পরে কোন প্রকার ডিগ্রি বা অভিজ্ঞতা ছাড়া প্রেসক্রিপশন দেয়ার জন্য মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ ধারা অনুযায়ী তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এসময় কাপাসিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা ভ্রাম্যমাণকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।