চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি নাকি বিয়ে করেছেন। এমন গুঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে সেসবকে পাত্তা দিচ্ছেন না মাহি। তিনি বলেন, ‘না, বিয়ে করিনি। গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’ মাহিয়া মাহিকে নিয়ে কেন এমন গুজব ছড়ানো হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি জানেন না, আবার তার বিয়ের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া ও কিছু গণমাধ্যম যে ছবি ও খবর আনছেন তা-ও একেবারে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। মাহির বিয়ের গুঞ্জন বা গুজবের মধ্যেই চলচ্চিত্রাঙ্গনে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। দুজন চিত্রনায়িকাকে গ্রেপ্তারের পরই এই অস্থিরতা। এসব নিয়ে অবশ্য মাহি মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না। অন্তত তার সোশ্যাল হ্যান্ডেল দেখে বোঝা যাচ্ছে, খুব কাছের সহকর্মীরা পুলিশের হাতে আটক অথচ তিনি চুপচাপ। কথা বলছেন অন্য বিষয়ে। ফেসবুক হ্যান্ডেলে মাহিয়া মাহি কয়েকটি ফুলের সঙ্গে ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ বললে নাকি আল্লাহ তার বান্দার ওপর খুশি হয়ে রহমত আরো বাড়িয়ে দেন । সেই আশায় আমিও শয়নে স্বপনে জাগরণে শুধু আলহামদুলিল্লাহ বলতে থাকি।’ এই বাক্যের সঙ্গে একটি হৃদয়ের সাইন জুড়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ মাহি এখন শয়নে স্বপনে জাগরণে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলে যাচ্ছেন মাহিয়া মাহি।
২০১৮ সালের শেষের দিকে একবার খবর রটেছিল, মাহি-অপুর সংসারে বিচ্ছেদ ঘটেছে! কিন্তু তখন স্বামী অপু বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন মনোমালিন্য হয়েছে। খুব শিগগির সব ঠিক হয়ে যাবে। এরপর প্রায় তিন বছর এক ছাদের নিচে ছিলেন দুজন। সর্বশেষ শামীম আহমেদ রনীর ‘লাইভ’ ছবির শুটিংয়েও ২৭ মার্চ মাহির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল অপুকে। এর পর থেকেই আলাদা থাকছিলেন দুজন। সম্প্রতি দুজনই আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের খবর জানালেন।
সিলেটের মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে ২০১৬ সালের ২৪ মে বিয়ে হয় মাহিয়া মাহির। অপু যুক্তরাজ্য থেকে কম্পিউটার প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করে সিলেটে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন এখন। তাদের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের এবার ইতি ঘটছে দুইজনের সিদ্ধান্তেই।