সরকারের মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলছেন কাজের কাজ কিছুই করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জে করোনা হেল্প সেন্টার উদ্বোধনের সময় তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে করোনা হেল্প সেন্টার চালুর অংশ হিসেবে কেরানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে এ হেল্প সেন্টার উদ্বোধন করা হয়।
রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন একে একে সব খুলে দিচ্ছি। শিল্প কলকারখানা, গণপরিবহন ও মার্কেটসহ সব খুলে দিচ্ছে। কিন্তু স্কুল- কলেজগুলো খুলে দেবেন না। আমরা দেখতে পেলাম ইউরোপে স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার দিয়ে। ছেলেদের জীবন ধ্বংস করেনি। অথচ আমাদের সরকার স্কুল-কলেজ খুলে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর করোনা সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো ধারণা নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘আমার করার কিছু নেই।’ অথচ বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠী অক্সিজেন দিয়েছে যা বিমানবন্দরে পড়ে আছে। আজকে পথে-ঘাটে, ধানক্ষেতে মানুষের লাশ পড়ে আছে। শুধু চারদিকে লাশের গন্ধ আর হাহাকার চলছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীরা আধুনিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। কিছু বেসরকারি হসপিটালে আধুনিক চিকিৎসা থাকলেও সরকারি হাসপাতালগুলোতে নেই। মফস্বলের অবস্থা আরো ভয়াবহ। না আছে ওষুধ, না আছে ডাক্তার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যেখানে গণতন্ত্রের বদলে, মুক্তচিন্তা বদলে, বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গুম-খুন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার সেখানে বিরোধীদল জনগণের পাশে দাঁড়ানো কষ্টকর। তারপরও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কেউ বসে নেই। আতঙ্কের মধ্যেও নেতা-কর্মীরা জনগণের পাশে আছেন। সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, সরকার লকডাউন তুলে দিয়েছেন। যেখানে সরকারি হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ২৫০ জনের বেশি লোক মারা যাচ্ছে। গ্রামগঞ্জে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের হিসাব নেই। অথচ যখন ৫০ জন মারা যেত তখন লকডাউন দিয়েছিল। জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতা না থাকায় সরকার যখন যা খুশি তাই করছে।