শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

চুপ থাকা পরিশ্রমহীন ইবাদত

আমিনুর রহমান হাসান:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

স্বল্পভাষী বা কম কথা বলা মানুষের উত্তম গুণগুলোর অন্যতম। কম কথা বলার কারণে মানুষ বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন বিপদ থেকে বেঁচে যায়। পক্ষান্তরে বেশি কথা বলা বা অহেতুক কাজের কারণে মানুষ বিভিন্ন বিপদে পড়ে। চুপ থাকার মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি পাওয়া যায়। চুপ থাকাটা পরিশ্রমহীন এক উত্তম ইবাদত। হজরত সুলাইমান আ: বলেন, ‘কথা বলাটা যদি রূপা হয়, তাহলে চুপ থাকাটা হবে স্বর্ণ।’ তাছাড়া চুপ থাকার উপকারিতা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সা:-এর অসংখ্য হাদিস রয়েছে।
আমাদের সমাজের হানাহানি মারামারি হিংসা বিদ্বেষের যদি কারণ খুঁজতে যাই, তাহলে যেটি পাবো সেটি হলো, আমরা অনর্থক কথাবার্তা ও কাজে জড়ানোর কারণে সেটি হয়। অনিয়ন্ত্রিত লাগামহীন কথাবার্তা আমাদের ঝগড়াঝাটির মূল কারণ। জীবনে যারা অনর্থক কথাবার্তা ও কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে, তারাই পেরেছে সব ধরনের ফেতনা থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে।
ইমাম আহমদ, দারেমি ও বায়হাকি থেকে বর্ণিতÑ রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যে চুপ থাকে সে নাজাত পায়’। (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ, দারেমি)। অন্য হাদিসে হজরত আনাস বিন মালিক রা: থেকে বর্ণিতÑ রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যে নিরাপদ থাকতে চায়, তার চুপ থাকাটা আবশ্যক’ (মুসনাদে আবি ইয়ালা, মুসনাদে আনাস বিন মালিক)।
তা ছাড়া চুপ থাকাটা নফল ইবাদত। নফল ইবাদতের মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে। অহেতুক কথামালা ও অনর্থক কাজের চেয়ে চুপ থাকাটা অধিক উত্তম ও উপকারী। হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যে আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনয়ন করেছে, সে যেন উত্তম কথা বলে, না হয় চুপ থাকে’ (বুখারি ও মুসলিম)।
একবার একজন সাহাবি রাসূলুল্লাহ সা:কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার ব্যাপারে যে বিষয়ে আশঙ্কা করেন এর মধ্যে বেশি আশঙ্কা করেন কোনটি? রাসূলুল্লাহ সা: তাঁর জিহ্বায় ধরে বললেন, জবানের হিফাজত (সুনানে তিরমিজি)।
দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের কথা ভেবে ইসলাম মানুষকে চুপ থাকার প্রতি উৎসাহিত করেছে। তা ছাড়া সব মানুষ অহেতুক ও অনর্থক কথাবার্তা শুনতে পারে না। এতে তার কষ্ট হয়। অহেতুক ও অনর্থক কথাবার্তার মাধ্যমে আমরা শুধু নিজেরই ক্ষতিসাধন করি না, অন্যকেও কষ্ট দেই। এ ব্যাপারেও আমাদের সচেতন থাকাটা উচিত।
হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিতÑ রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘ব্যক্তির ইসলামের সৌন্দর্য হলোÑ অনর্থক কাজকর্ম পরিহার করা’ (সুনানে তিরমিজি)।
আমাদের সামজিক জীবন বিশ্লেষণ করলেও প্রতীয়মান হয় যে, কম কথা বলা বা অনর্থক কাজকর্ম থেকে বিরত থাকাটা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ সাধনে সহায়ক হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কম কথা বলা ও অহেতুক অনর্থক কাজকর্ম পরিত্যাগ করার মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমীন। লেখক: আলেম, প্রাবন্ধিক




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com