বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে তিনি কী মতামত দিয়েছেন তা জানাননি। গতকাল মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) এই আবেদনের মতামত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মতামত দিয়ে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আবেদনে মতামত দিয়ে সেটি মঙ্গলবার আবার আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে পরিবারের করা আবেদনে মতামত দিয়ে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে আবেদনে কী মতামত দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আগের বারের মতো এবারের চিঠিতেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর কথা বলে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছে। গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষের কয়েক দিন আগে খালেদার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন। তিনি দেশে আসার পর খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে জানা যাবে।