সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের রফতানি বাড়ায় ভারতীয়দের আপত্তি নকলায় বিএনপির ৪ নেতানেত্রীকে বহিষ্কার পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য ১২ দিনে পানিতে ডুবে ১২ শিশুর মৃত্যু অর্থবছরের ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ বরিশালে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আপনাদের সহায়তায় সুস্থ জীবন চাই শ্রীমঙ্গলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত নূরে মদিনা মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ফুলপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবের মিছিল

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার রূপরেখা সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশীয় শিক্ষার রূপরেখা সাজানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়া উপস্থাপনা অবলোকনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে শিক্ষাব্যবস্থা আরও আধুনিকায়ন করতে হবে। শিক্ষা কার্যক্রম সময়োপযোগী করা একান্তভাবে অপরিহার্য। আমাদের যে নীতিমালা আছে, নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা করবো। কিন্তু সব সময় সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে এবং বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কোনোমতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না।
বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছিলাম, বিজ্ঞানের প্রতি আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের অনীহা। বিজ্ঞান শিক্ষা তারা নিতেই চাইতো না। বিজ্ঞান বিভাগের লোকই পাওয়া যেতো না। এরকম একটা সময় কিন্তু ছিল। পরে আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দিই। আমরা দেশে ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। এসময় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তার সরকারের চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে কথা বলেন সরকারপ্রধান।
দীর্ঘদিন পর গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, গতকাল (রোববার) থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি। ধীরে ধীরে সব খুলে দেয়া হবে। আবার নতুনভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি, কাজও করেছি। কিন্তু সশরীরে স্কুলে যাওয়ার আনন্দ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ থেকে শিশুরা বঞ্চিত হয়েছে। করোনাকালীন শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের সময় যখন সব কিছু স্থবির, তখন আপনারা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনকার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করা যায়, জীবন-জীবিকার পথটা কীভাবে খোলা রাখা যায়, সে বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আপনারা এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। যে সব এলাকায় স্কুল ছিল না, সেসব এলাকায় আমরা স্কুল তৈরি করে দিচ্ছি। সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দেশ নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। ছোট ছোট শিশুদের যোগাযোগ ও যাতায়াতের ব্যবস্থা বিবেচনা করেই কিন্তু আমরা বিভিন্ন এলাকায় স্কুল তৈরির ব্যবস্থা নিয়েছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com