সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

শান্তিগঞ্জে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সুজন

হোসাইন মাহমুদ শাহীন সুনামগঞ্জ :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নাম তার মনিরুজ্জামান বারী সুজন। পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। তার জন্মস্থান সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের ডুংরিয়া গ্রামে। তিনি সর্বশেষ সিলেটের এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০০৩ইং সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ ও ২০০১ইং অনার্সসহ বিএ পাশ করেন। এর আগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ থেকে। সেখানে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগ মনোনিত ভিপি প্রার্থী মনীষ কান্তি দে মিন্টু প্যানেলকে নির্বাচিত করতে একজন দক্ষ ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ডুংরিয়া গ্রামের বিশিষ্ট সালিশী মুন্সী আব্দুল বারীর সুযোগ্য পুত্র। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে ডুংরিয়া গ্রামের জামে মসজিদের দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে লাগাতার ইমামতি পেশায় নিয়োজিত প্রয়াত মুন্সী আরফান আলীর সুযোগ্য দৌহিত্র এবং বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী ও সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান এমপির ভাতিজা হিসেবে। প্রতিভাধর এই রাজনীতিবিদ বর্তমানে শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, এম.এ মান্নান প্রাথমিক মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ট্রাস্টের সভাপতি ও ডুংরিয়া উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে সিলেট এমসি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক, ডুংরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর সাবেক শিক্ষানুরাগী সদস্য, ডুংরিয়া অগ্রগামী ছাত্রকল্যান পরিষদের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০১৩-২০১৮ইং পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এফআইভিডিবির জনশীলন শিক্ষা কর্মসুচির টীমলিডার ও এরিয়া ম্যানাজার হিসেবে এবং ২০০৫-০৬ইং পর্যন্ত সাবেক গভর্ণর ড.আতিয়ার রহমান পরিচালিত বেসরকারী সংস্থা সিডিএফ এর ক্রেডিট এন্ড ডেভেলাপমেন্ট ফোরামের ডাটা কালেক্টর হিসেবে চাকুরী করেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক ও আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় তিনি নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ান নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন করে। এরপর থেকেই সারা ইউনিয়নে তার পক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠে। সকলের বক্তব্য সুজন একজন সৎ যোগ্য দক্ষ ও কর্মঠ প্রার্থী। তুলনামূলকভাবে জয়কলস ইউনিয়নে সকল প্রার্থীর মধ্যে যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় তিনিই শীর্ষে। এইবার তাকে নৌকার মনোনয়ন না দিলে আমাদের প্রতি দল অবিচার করবে বলে আমরা মনে করি। জানা যায়, ১৯৭৩ সালে জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ডুংরিয়া গ্রামের ন্যাপ নেতা আব্দুল জব্বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনিক সিদ্বান্তে চেয়ারম্যান হিসেবে গেজেটভূক্ত হন জয়কলস উজানীগাঁও নিবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ জালু মিয়া। প্রবল প্রতাপের সাথে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে চেয়ারম্যান পদ ভাগিয়ে নেয়ার ঘটনায় সবাই কোন প্রতিবাদ না করলেও এই ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় এখনও ডুংরিয়া গ্রামের চেয়ারম্যান প্রার্থীর জনপ্রিয়তার কথা কিংবদন্তী হয়ে আছে। ডুংরিয়া শিবপুর গ্রামের সালামত হোসেন মস্কু একবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেও এই গ্রামের অন্য কোন প্রার্থী কখনও আর চেয়ারম্যান হতে পারেননি। তাই এখন সময়ের প্রয়োজন ও প্রত্যাশা পূরনে সুজনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসী। শান্তিগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হেকিম তালুকদার, সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান এবং প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা তহুর আলী বলেন, সুজন দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর কাছে সুহৃদ স্বজন হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত আপনজন। তাকে মনোনয়ন দিলে দলীয় নেতাকর্মীরা নতুন করে উজ্জীবিত হবে এবং ইউনিয়নের উন্নয়ন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ভোটাররা বলেন, গত নির্বাচনের পর থেকেই মাঠে সক্রিয় রয়েছেন সুজন। বিশেষ করে করোনা মহামারীতে এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন এবং এখনও আছেন তিনি। আমরা তাকেই চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। জানতে চাইলে জয়কলস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনিরুজ্জামান বারী সুজন বলেন, মন্ত্রী চাচার পরিচয়ে নয় নিজ কর্মদক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও অবদানের স্বীকৃতি নিয়েই জয়কলস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হতে চাই। আমার বিশ্বাস জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকেই নৌকার মনোনয়ন দেবেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com