রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ছাত্রজনতার দখলে রাজপথ, শ্রীমঙ্গলে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ কবিরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসে আবারো হামলার শিকার টাকা না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলে গ্রেফতার কেশবপুরের টিটাবাজিতপুরে জমি জবরদখলকারী ও চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অসুস্থ মাহমুদুর রহমান মান্না বিএসএমএমইউতে ভর্তি “বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলে রুখে দেয়ার আহ্বান” নাজিরপুরে উপজেলা প্রকৌশলীর দুর্ণীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে কাজ করতে হবে: আবদুল হালিম জলঢাকায় ভোট চোর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ব্যস্ত সময় পার করছেন দুর্গাপুরের মৃৎশিল্পিরা

বিরামপুরে আগাম জাতের আমন কাটা শুরু ধান ও খড়ের অধিক মূল্যে কৃষক লাভবান

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১

শস্য ভা-ারখ্যাত দিনাজপুরের খাদ্য উদ্বৃত্ত বিরামপুর উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মুক্ত ভাবে এবার আগাম জাতের আমনের আশাতীত ফলন হয়েছে। আগাম ধান কাটায় খাদ্য চাহিদা পূরণ, বাজারে অধিক মূল্য ও কাঁচা খড় বিক্রিতে অধিক দামের মাধ্যমে কৃষকরা সবদিক থেকে লাভবান হচ্ছেন। পাশাপাশি একই জমিতে শীতকালীন শবজি রোপনের প্রস্তুতি নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৭ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপন করা হয়। এর মধ্যে অনেক জমিতে আগাম জাতের হিরা-২ ও ধানী গোল্ডসহ অন্যান্য ধান রয়েছে। অক্টোবর মাসের প্রথম থেকে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪শ’ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। আমনের অন্যান্য ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুটি সর্না, সর্না-৫, ব্রি-৩৪,৫১,৭১,৭৫, হাইব্রিড ও বিনা-১৭.২০ জাত। বাদমৌকা গ্রামের কৃষক রাজু আহম্মেদ জানান, তিনি প্রায় চার বিঘা জমিতে হিরা-২ আগাম জাতের আমন রোপন করেন। তিনি বিঘা প্রতি ১৮-২০ মন হারে ফলন পেয়েছেন। আড়াপাড়া গ্রামের বুলবুল হোসেন জানান, তিনি ৬ বিঘা জমিতে ধানী গোল্ড জাতের আমন রোপন করেছেন। তিনি বিঘা প্রতি ২২-২৪ মন হারে ফলন পেয়েছেন। কৃষকরা বলেন, আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে পেরে খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে ৮-৯শ’ টাকা মন দরে কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন। ধানের কাঁচা খড় গো-খাদ্য হিসাবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি বিঘার খড় ৪-৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একই জমিতে আবার আলু, কপিসহ শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার শবজি/ফসল রোপনের প্রস্তুতিও চলছে। মুকুন্দপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, আমি দিনভর মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের হাতের কাছে রয়েছি। আগাম আমন ধানসহ লাভজনক ফসল আবাদে কৃষকদের সহায়তা এবং রোগ-বালাই ও দূর্যোগ প্রতিরোধে দিক নির্দেশনা মূলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com