গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আগামী বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ^বিদ্যালয় কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এটিএম আমিনুল হক পাইক। দলীয় মনোনয়নের লক্ষে তিনি এলাকায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক গনসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও সামাজিক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনছেন এবং সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছেন। অসহায় দরিদ্রদের যে কোন সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এটি এম আমিনুল হক পাইক বলেন, মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এলাকার এমপি। তার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। করোনাকালীন সময়ে আমি নিজের এবং পরিবারের কথা চিন্তা না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মহীনদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। দরিদ্রদের নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্যে করেছি। বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিয়েছি। কৃষকের ধান জমি থেকে ঘরে আনার জন্য সাকো নির্মাণ করে দিয়েছি। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছি। জনগনের চলাচলের জন্য ছোট ছোট রাস্তা নির্মাণ এবং মশা নিধনে খাল ও জলাশয় থেকে কচুরীপানা পরিস্কার করেছি। এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার জন্য অর্থ দিয়ে সাহায্যে করেছি। অসহায় দরিদ্রদের পাশে থাকা যেন আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এলাকার জনগন আমাকে নির্বাচন করতে উৎসহ দিচ্ছেন। তাদের আশা পূরণের জন্য আমি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। আশা করছি দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন। তিনি আরও বলেন, নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হওয়ায় ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে আমি প্রথমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রাম হবে শহর’ এর বাস্তব প্রতিফলন ঘটাব। ইউনিয়ন থেকে মাদক, জুয়া, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিংসহ নানা ধরণের অপরাধ নির্মূল করে ইউনিয়নটিকে একটি মডেল ইউনিয়ননে গড়ে তুলবো।