সুন্দরবনের আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের পুনর্বাসনে ঘর, নৌকা, জাল, গবাদিপশু ও মুদি দোকান হস্তান্তর করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সোমবার দুপুরের দিকে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব পুনর্বাসন উপহার বিতরণ করেন মন্ত্রী। এর মধ্যে ১০২টি ঘর, ৯০টি মুদি দোকান (মালামালসহ), ১২টি জাল ও মাছ ধরার নৌকা, আটটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা এবং ২২৮টি গবাদিপশু রয়েছে। সম্প্রতি পুনর্বাসন চাহিদা সমীক্ষা চালিয়ে আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের তালিকা তৈরি করে র্যাব। আজ তাদের মাঝে এসব পুনর্বাসন উপহার বিতরণ করা হয়। দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে মূল পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বিশেষ অতিথি আছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. হাবিবুর রহমান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পীর ফজলুর রহমান। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য গ্লোারিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমদ উপস্থিত আছেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন। এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে উপকূলীয় অধিবাসীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকা। জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের আগে তাদের বড় আতঙ্ক ছিল জলদস্যু ও বন দস্যুদের উৎপাত। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ এই বনাঞ্চলটিকে ‘দস্যুমুক্তের’ ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা, দিকনির্দেশনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও র্যাবের কর্মতৎপরতায় দস্যুমুক্ত হয় সুন্দরবন। সেবার র্যাবের কাছে সর্বমোট ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন আত্মসমর্পণ করেন। তারা ৪৬২টি অস্ত্র, ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেয়। এ সাফল্য অর্জনে র্যাব পেয়েছে দেশবাসীর আকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা।