বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি পরিস্থিতি থেকে নিজেদের মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে স্লোভেনিয়া। সংক্রমণ ও মৃতের হার অনেকটা কমে আসার পর শুক্রবার (১৫ মে) এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সীমান্ত। তবে অনেক মানুষের সমাগমের মতো কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকছে। স্লোভেনিয়াই প্রথম ইউরোপীয় দেশ, যারা নিজেদের মহামারিমুক্ত ঘোষণা করলো। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্লোভেনিয়ায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এখনও আছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্লোভেনিয়ায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। দেশটির একদিকে আছে ইতালি। করোনা মহামারিতে যেসব দেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ইতালি তার একটি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্লোভেনিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৫০০ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। তবে সংক্রমণের হার যথেষ্ট কমেছে। এমন অবস্থায় দেশটির সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সব দেশের মানুষের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে। এর বাইরের কোনও দেশের লোক স্লোভেনিয়ায় ঢুকতে চাইলে তাকে থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে।
শুক্রবার স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানেজ জানসা বলেন, ‘এখন ইউরোপের মধ্যে স্লোভেনিয়াতেই করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো। সুতরাং আমরা ঘোষণা করতেই পারি আমাদের দেশে আর ব্যাপক মহামারি নেই।’ দু’মাস আগে স্লোভেনিয়া সরকার দেশজুড়ে অতি মহামারি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছিল।
স্লোভেনিয়া সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোভিড ১৯ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা এখনও রয়েছে। সুতরাং কয়েকটি ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখতে হবে। একসঙ্গে অনেক লোক জড়ো হতে পারবে না। প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি স্লোভেনিয়া সরকার জানায়, আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে শপিং সেন্টার ও হোটেল খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। ফুটবল ম্যাচ ও অন্যান্য খেলাধুলা চালু হবে ২৩ মে থেকে।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মাতেজা লোগার বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এখনও কোনও ইউরোপীয় দেশ দাবি করেনি তারা অতি মহামারিকে জয় করতে পেরেছে। সুতরাং স্লোভেনিয়া সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’ তার মতে, স্লোভেনিয়ায় করোনাভাইরাস এখনও রয়েছে।
এমআর/প্রিন্স