শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
হাসিনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে যাতে আর কেউ ফ্যাসিবাদী না হয় : রিজভী তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ

রাসূলের সা: আদর্শই মুক্তির একমাত্র পথ : ডা: শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মহানবীকে (সা.) বিশ্বজাহানের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছেন। আমরা তার উম্মত হিসাবে সৌভাগ্যবান ও গর্বিত। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তিলাভ করতে হলে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল (সা.) অনুসৃত পথই আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। তিনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বনবীকে (সা.) আদর্শ নেতা হিসাবে অনুসরণ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মাহে রবিউল আউয়াল উপলক্ষে মাসব্যাপী সিরাত বিষয়ক ১০টি প্রতিযোগিতা (ছাত্র-ছাত্রী, নারী-পুরুষ) মিলে মোট ৩২টি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ২০ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
এ উপলক্ষে ‘সিরাতুন্নবী সা: আলোচনা সভা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান-২০২১-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিরে জামায়াত এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও নূরুল ইসলাম বুলবুল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক হারুনুর রশীদ খান, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা মমতাজ উদ্দীন, এ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন সরকার, আব্দুর রহমান মুসা, ড. মাওলানা সামিউল হক ফারুকী, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ড. খলিলুর রহমান আল মাদানী। আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দীন আইয়ুবী ও সেক্রেটারি জেনারেল হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য কামরুল এসহান এমরুল, জহির উদ্দীন বাবর, ফখরুল ইসলাম, লস্কর মো: তসলিম, মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা: ফখরুদ্দীন মানিক ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ওলামা বিভাগের সভাপতি ড. মাওলানা হাবিবুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক আমিরে জামায়াত অধ্যাপক গোলাম আযমের জ্যেষ্ঠপুত্র মামুন আল আযমী, সাবেক আমিরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বড় ছেলে অধ্যাপক ড. নকীবুর রহমান, সাবেক আমিরে জামায়াত মরহুম মকবুল আহমাদের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইসমাঈল হোসেন ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ছেলে আলী আহমদ মাবরুর প্রমুখ। এতে দেশবরেণ্য উলামা-মাশায়েখ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, মালয়েশিয়া ও কাতারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আলোচকগণ অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভাশেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী প্রতিযোগীদের নাম ঘোষণা ও উপস্থিত বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন মহানগরী উত্তর আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। অনুপস্থিতদের পুরস্কার তাদের কাছে পৌঁছানো হবে বলে জানানো হয়। উল্লেখ্য, সিরাত বিষয়ক ১০টি প্রতিযোগিতা ছাত্র-ছাত্রী, পুরুষ, নারীসহ মোট ৩২টি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ৩০ লাখ টাকা মূল্যমানের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। হাফেজ ক্বারী আব্দুল্লাহ আল জাওয়াদের কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভার সূচনা হয়। আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, জাগরণ শিল্পীগোষ্ঠী, অনুপম শিল্পীগোষ্ঠী, সন্দীপন শিল্পীগোষ্ঠী ও সারগাম শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে পুরো অনুষ্ঠান হৃদয়গ্রাহী ও প্রাণবন্ত করে তোলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দ্বীন বিজয়ী করতে মানুষকে খলিফার দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। নবী-রাসূলগণ একই দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু যারাই মানুষকে সত্য দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছেন, তাদের ওপরই নেমে এসেছে অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের পেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের সে ধারাবাহিকতারই অংশ। তাই সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা ও জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রত্যয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান। ‘সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের মানুষ কিছুটা নিরাশ ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হলেও আমরা যদি কুরআনের প্রতি অবিচল থাকতে পারি তাহলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’
দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের বিনিময়ে আমাদের জান ও মালকে খরিদ করে নিয়েছেন। আর মুমিন জীবনের অভীষ্ট লক্ষ্যই হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির মাধ্যমে সর্বোচ্চ পুরস্কার জান্নাত লাভ করা। তাই সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কোরবানির নজরানার মাধ্যমে আমাদেরকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। তিনি দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য নিজেদের সকল সামর্থ্যকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: ছিলেন সর্বযুগের, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সফল রাষ্ট্রনায়ক। ইতিহাসে এমন কীর্তিমান রাষ্ট্রপ্রধান আর দ্বিতীয়টি দেখা যায় না। তিনি সুশাসন নিশ্চিত করতে ১৯ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ স্থাপন করেছিলেন। তিনি প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও নাগরিক পরিসেবা বিভাগকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। ফলে সদ্য প্রতিষ্ঠিত মদীনা রাষ্ট্র হয়ে উঠেছিল ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র।
মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, সব নবী-রাসূলগণই দ্বীনি আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন। আর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা: ছিলেন একজন আদর্শ ও সফল সংগঠক। তিনি একটি সংঘাতপূর্ণ সময়ে মক্কায় আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি তার ব্যক্তিত্ব ও সাংগঠনিক প্রতিভা দিয়ে এক কালেমার পতাকাতলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তাই দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য আমাদেরকে কালেমার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিশ্বনবীর সা: জীবনাদর্শ মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, কোন বিশেষ দিন নয় বরং জীবনের প্রতিটি মহূর্তেই বিশ্বনবীর সা: আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ। মহানগরী আমির মাসব্যাপী সিরাত প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভাকে সফল ও সার্থক করে তোলার জন্য আমিরে জামায়াতসহ সকল আলোচক, মহানগরী নেতৃবৃন্দ, সকল স্তরের পুরুষ ও মহিলা জনশক্তি, কলাকুশলী, সকল প্রতিযোগী ও তাদের পরিবার এবং প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক মোবারকবাদ জানান। যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার পাননি তাদের জন্য আখরাতে উত্তম পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করেন তিনি। প্রেসবিজ্ঞপ্তি




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com