প্রতারক শাহীন ও তার ভাই রমজানের রোষানলে করে সৈয়দ আলী সর্বশান্ত হয়ে সু-বিচারের আশায় সকলের দ্বারে দ্বারে বেড়াচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের ৫নং উপশহর এলাকার মেসার্স আবু সিয়াম মুড়ির মিলে। ঘটনার বিবরন প্রকাশ, দিনাজপুর শহরের ৫নং উপশহর এলাকার আব্দুল মালেকের পুত্র শাহীন আলমের ভাই রমজান আলী বিসমিল্লাহ্ মুড়ির মিল মালিক। পাওনা টাকা মেটাতে রমজান আলী তার মুড়ির মিলটির যাবতীয় মালামাল সহ একটি পিকআপ গাড়ী নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে এফিডেভিট মূলে সুমন বসাকের নিকট বিক্রি করে। সুমন বসাক মুড়ির [শেষ পৃষ্ঠার পর]
মিলটি পরিচালনার জন্য শাহীন আলমকে মৌখিকভাবে পার্টনার করে নেয়। শাহীন আলম পার্টনার হওয়ার পর নিজের পকেট ভারী করার কারণে সুমন বসাক ব্যবসায় মূলধন হারিয়ে ফেলে। বিপাকে পড়ে সুমন বসাক তার মুড়ির মিলটি অন্যত্রে বিক্রয় করার উদ্দ্যোগ নেয়। শাহীন পাটনার হওয়ার সুবাদে সৈয়দ আলী নিয়মিতভাবে মুড়ির মিলে চাল সরবরাহ করত। শাহীন আলম চাউলের টাকা নিয়মিত পরিশোধ না করায় সৈয়দ আলীর বকেয়ার পরিমান দাড়ায় তিন লক্ষ টাকা। এই টাকা আদায়ের জন্য শাহীনকে চাপ সৃষ্টি করলে সুরাহা হয় না। ঠিক এ সময়ে শাহীন মুড়ির মিলটি পরিচালনার জন্য আরিফের সহযোগীতা নিয়ে সুমন বসাকের কাছ থেকে মৌখিকভাবে ভাড়া নেয়। প্রায় চার মাস মিলটি পরিচালনা করে আরিফ আট লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সরে পড়ে। শাহীন পাওনা টাকা পরিশোধ করার কথা বলে প্রথমত ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পরবর্তীতে ২১মার্চ ২০২১ তারিখে ১৩ লক্ষ টাকা হিসেবে ২টি চেকে ব্যবসায়ের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে নেয়। পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য শাহীনের সহযোগীতায় সৈয়দ আলী গত ১১ মে/২০২১ তারিখে জেলা দিনাজপুর নোটারী পাবলিক সমীপে এফিডেভিট মূলে মুড়ির মিলের যাবতীয় মালামাল সহ পিকআপটি সুমন বসাকের নিকট থেকে ক্রয় করেন। তৎপর মুড়ির মিলটি ভালভাবে পরিচালনার জন্য শাহীনের সহযোগীতা চায়। শাহীন জানায় উৎপাদনকৃত মুড়ি পাইকারীভাবে ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি সহ টাকা আদায়ের দায়িত্ব নেবেন এবং ম্যানেজারের কাছে খাতাপত্রে মুড়ি বিক্রির হিসাব থাকবে। এতে ব্যবসায় আমরা অধিক লাভবান হতে পারব। সৈয়দ আলী সুষ্টভাবে মুড়ির মিলটি শাহীনের মাধ্যমে পরিচালনা শুরু করে। নিয়মিতভাবে উৎপাদনকৃত মুড়ি ৪০ কেজির বস্তা পিকআপ যোগে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলায় বিভিন্ন হাট বাজারে পাইকারীভাবে দোকানে মুড়ি দেয়া ও টাকা আদায় করত। শুরুর প্রথম মাসটি সুন্দরভাবে শাহীন আলম ম্যানেজারকে হিসাব দিয়ে লেনদেন ঠিক রাখে। পরবর্তী মাস থেকে শাহীন পাইকারীভাবে দোকানে মাল দিলেও লেনদেনের হিসাব ম্যানেজারকে ঠিক ভাবে না দেয়ায় বকেয়া টাকার পরিমান বৃদ্ধি পায়। সৈয়দ আলী ম্যানেজারের কাছে হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী বকেয়ার টাকা শাহীন আলমের কাছে চাইলে নানা টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করেন। এহেন প্রেক্ষাপটে সৈয়দ আলী আয়-ব্যয়ের পুরো হিসাব কষে দেখে শাহীন প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। আরও জানা যায়, শাহীন ও তার ভাই আত্মসাৎকৃত টাকার সুবাদে শহরের বাহাদুর বাজার এলাকায় ৩টি দোকান ক্রয় করেন। তদুপরি সৈয়দ আলী আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারের চেষ্টাসহ মুড়ির মিলটি তার সহযোগীতায় পরিচালনা করতে থাকে। অক্টোবর/২০২১ শেষের দিকে মুড়ির মিলের ভিতরে শাহীন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সৈয়দ আলীর উপর চড়াও হয়। ১লা নভেম্বর/২১ সৈয়দ আলী অফিসার ইনচার্জ কোতয়ালী থানায় শাহীন, রমজান, নাজমা, সাগর ও আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডাইরী করেন। যার ডাইরী নং-৭৭, তাং-০১/১১/২১ইং। এবিষয়ে সৈয়দ আলী স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিস্তারিত ঘটনা জানান। ২নভেম্বর সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে শাহীনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তার আংশিক বক্তব্য ভিডিও করা হয়। শাহীন সাংবাদিকদের আশ্বাস দেন সৈয়দ আলীকে মুড়ির মিল ব্যবসায় কোন ঝামেলা করবে না এবং অল্প সময়ে লেনদেন নিষ্পত্তি করবে। ঐদিনেই মুড়ির মিলে সৈয়দ আলীকে একা পেয়ে শাহীনসহ তার দলের সহযোগীতায় একটি ঘরে টেনে হেচড়ে ঢুকিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার পর মিটিয়ে নেয়। এবিষয়টি সাংবাদিকদেরকে সৈয়দ আলী জানালে গত ৮নভেম্বর/২১ তারিখে সাংবাদিকরা মুড়ির মিলে গিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সৈয়দ আলীর সামনে শাহীনকে বুঝিয়ে বলেন। শাহীন জানায় এক সপ্তাহ মুড়ির মিলের সাথে যোগাযোগ না রেখে টাকা পয়সা জোগাড় করে সৈয়দ আলীর সাথে সমস্যা মিটাবে বলে কথা দেয়। ঐবিষয়ে আলোচনার ২/৩ঘন্টার ব্যবধানে মুড়ি মিলের মুড়ি বিক্রেতা আশাদুল্লাহ্কে ভয়ভীতি দেখিয়ে শাহীন জোরপূর্বক ১৬ হাজার ৫’শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে সৈয়দ আলী মনক্ষুন্ন হয়ে কোতয়ালী থানায় ৮নভেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে শাহীন তার ভাই রমজান সহ তাদের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর রোষানলে পড়ে সৈয়দ আলী ব্যবসার মূলধন উদ্ধার করাতো দুরের কথা মিল পরিচালনা করতে পারছে না। তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জীবনের চরম নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন। এব্যপারে উদ্ধতন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সৈয়দ আলীসহ তার পরিবার।