দিনাজপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান, গলা বিভাগের এক চিকিৎসকসহ নতুন ১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ৪ নারী। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর। কয়েকদিন আগে তারা ঢাকা থেকে এসেছেন। তারা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
এ নিয়ে দিনাজপুরে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ জন।
ঘোড়াঘাট খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প. প. কর্মকর্তা ডা. নুর নেওয়াজ জানান, ঘোড়াঘাটের আদর্শগ্রাম হরিপারার ২ জন, পালশার ৩ জন, পৌপরিয়া পালশার একজন এবং রঘুনাথপুর বলাইবাড়ীর একজন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরা ঢাকায় থাকাকলীন ল্যাবে নমুনা দিয়েছিল এবং কয়েকদিন আগে তারা বাড়িতে ফিরে আসে। শুক্রবার রাতে তাদের নমুনার ফলাফলে এই করোনা শনাক্ত হয়। এরপরে তাদের বাড়িসহ ১০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন উপজেলা প্রশাসন।
অপরদিকে, খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল জানান, খানসামায় আক্রান্ত নারী উপজেলার ভাবকী ইউপির আগ্রা গ্রামের দাস পাড়ার বাসিন্দা এবং ঢাকার মিরপুরে এক কোম্পানিতে কমর্রত ছিলেন। গত ৮ মে বাড়িতে এলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। আক্রান্ত ওই নারীর শরীরে করোনার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। তিনি এখন সুস্থ আছেন। ওই বাড়ির পাশের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হবে। শুক্রবার রাতেই করোনা পজিটিভ নারীর সাথে দেখা করে তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন ইউএনও আহমেদ-উল-ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল, অফিসার ইনচার্জ শেখ কামাল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার রাতে প্রাপ্ততত্তে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, দিনাজপুর সদরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান, গলা বিভাগের এক চিকিৎসক, বিরলে ১জন, খানসামায় ১জন, বীরগঞ্জে ১জন, নবাবগঞ্জে ১জন ও বোচাগঞ্জে ১জন, ঘোড়াঘাটে ৭জন রয়েছে।
জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় হোম কেয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ১৫৭জন এবং বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৬৮২ জন।
এমআর/প্রিন্স