মুমিন কখনো দুর্বল হয় না। আশাহত কিংবা নিরাশ হয় না। প্রকৃত মুমিন ব্যর্থতার জন্য হাহুতাশও করে না। বরং আল্লাহর উপর নিজেকে পরিপূর্ণ সমর্পণ ও আস্থা নিয়ে পূর্ণোদ্যমে সামনে এগিয়ে চলেন। কারণ মহান আল্লাহ তাআলাই মুমিনের দেহ, মন, ঈমান ও কর্মকে সব বিষয়ে শক্তিশালী হওয়ার তাওফিক দান করে থাকেন। কিন্তু যখনই কোনো মুমিনের বিগত জীবনের হতাশা বা ব্যর্থতার কথা মনে হবে; তখন সে কী পড়বে?
ব্যর্থতার কথা মনে হলেই মুমিন পড়বে- উচ্চারণ : ‘ক্বাদারুল্লাহি ওয়া মা-শা-আ ফাআলা।’ অর্থ : ‘আল্লাহর নির্ধারণ এবং আল্লাহ যা ইচ্ছা করেছেন তাই করেছেন।’
হাদিসের নির্দেশনা: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘শক্তিশালী মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে বেশি প্রিয় এবং বেশি ভালো; যদিও সকল মুমিনের মধ্যেই ভালো রয়েছে। তোমার জন্য কল্যাণকর বিষয় অর্জনের জন্য তুমি একনিষ্ঠ আগ্রহ ও সুদৃঢ় ইচ্ছা নিয়ে চেষ্টা করবে এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে। কখনোই দুর্বল হবে না বা হতাশ হবে না। যদি তুমি কোনো সমস্যায় নিপতিত হও (তুমি ব্যর্থ হও বা তোমার প্রচেষ্টার আশানুরূপ ফল না পাও) তাহলে কখনই বলবে না যে, যদি আমি ঐ কাজটি করতাম! যদি আমি অমুক-তমুক কাজটি করতাম। বরং বলবে- উচ্চারণ : ‘ক্বাদারুল্লাহি ওয়া মা-শা-আ ফাআলা।’ অর্থ : ‘আল্লাহর নির্ধারণ এবং আল্লাহ যা ইচ্ছা করেছেন তাই করেছেন।’ কারণ, অতীতের আফসোস মূলক (যদি করতাম) ধরনের বাক্যগুলি শয়তানের কর্মের পথ খুলে দেয়।’ (মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে ব্যর্থ কিংবা হতাশার কথা মনে হলেই এ আমলটি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।