রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডা. মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। আজ ২৭ নভেম্বর ‘শহীদ ডা. মিলন দিবস’ উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ২৭ নভেম্বর শহিদ ডা. মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে পুরোভাগে থাকা শহীদ ডা. সামসুল আলম খান মিলন পুলিশের গুলিতে শাহাদতবরণ করেন। তিনি শহীদ ডা. মিলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের উত্থান ঘটে। শহীদ ডা. মিলনের মতো আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ এসব বীর শহিদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকেও বেগবান করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম ডা. মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত করবে- এ প্রত্যাশা করি।’ রাষ্ট্রপতি শহীদ ডা. সামসুল আলম খান মিলনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।