মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

কুমিল্লায় শসা চাষে বাম্পার ফলনে আনোয়ারের মুখে হাসি

বাসস :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলারামপুর গ্রামের যুবক কাজী আনোয়ার হোসেন স্বল্পকালীন জাতের শসা চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তিন মাসেই শসা বিক্রি করে তিন লাখ টাকা মুনাফা করেছেন। আনোয়ারের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি। এর আগেও তিনি হলুদ তরমুজ ও মরুর ফল সাম্মাম চাষ করে সফল হয়েছেন। মুদি দোকানি থেকে কৃষি উদ্যোক্তা হওয়া আনোয়ার কৃষিতেই জীবনে সচ্ছলতা এনেছেন।
আনোয়ার জানান, সেপ্টেম্বরের শুরুতে ১৮০ শতক জমিতে শসার বীজ রোপণ করেন। চারা মাটি ভেদ করে উঁকি দিলে মাচা তৈরি করেন। প্রতিদিনই বেড়ে ওঠে শসাগাছ। মাচা আঁকড়ে ধরে ফুল দেয় গাছগুলো। সেই ফুল থেকে শসা হয়। বুলবুলি, দোয়েল ও শালিক পাখি অনেক শসা নষ্ট করেছে বলে চোখে-মুখে বিরক্তি প্রকাশ করেন আনোয়ার। তিনি জানান, জমি তৈরি, বীজ সংগ্রহ ও সার বাবদ ব্যয় হয় এক লাখ টাকা। পোকামাকড় দমনে সেক্স ফেরোমন ও আলোর ফাঁদ তৈরি করেছেন। তাই শসাগুলো স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। কৃষক আনোয়ার বলেন, ১৮০ শতক ক্ষেতে শসা চাষ করে ১০ হাজার কেজি বিক্রি করি। এখনও যে শসা আছে আরও ৫০০ থেকে এক হাজার কেজি শসা বিক্রি করা যাবে। সব মিলিয়ে আমার আয় হবে চার লাখ। খরচ এক লাখ বাদ দিলে তিন লাখ টাকা লাভ হবে।
নগরীর রাজগঞ্জ থেকে পাইকাররা যান আনোয়ারের বাড়িতে। ৪০ টাকা দরে তারা শসা কিনে নেন। বাজারে সেই শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন পাইকাররা। রাজগঞ্জ বাজারের পাইকার আবদুল মোতালেব বলেন, আনোয়ারের স্বল্পকালীন জাতের শসা স্বাদে ভালো। গত এক মাসে অনেক বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ক্রেতারা আমাদের কাছে দু-তিন মণ করে শসার অর্ডার করতেন। আমরা আনোয়ারকে জানাতাম। পরে গাড়িতে সেই শসা নিয়ে আসি। আমরা ৪০ টাকায় এনে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতাম।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, আনোয়ার হোসেন একজন কৃষি উদ্যোক্তা। নতুন কৃষি ফসল উৎপাদনে আনোয়ারের জুড়ি নেই। চলতি বছরের শুরুতে হলুদ তরমুজ, ব্ল্যাকব্যারি জাতের তরমুজ ও মরুর ফল সাম্মাম চাষ করে সফল হয়েছেন। তিনি জানান, আনোয়ার যখনই কোনো সমস্যায় পড়েন, তখনই কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করা হয়। তার মতো কৃষকদের যেকোনো ধরনের পরামর্শ দিতে কৃষি অফিস সব সময়ই প্রস্তুত।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com