চট্টগ্রাম নগরের চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ শিশু মোঃ কামাল উদ্দিনের (১২) লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের মির্জা খালের শুকলবহর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক রবিউল আজম ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা তৃতীয় দিনের মতো তল্লাশি শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। প্রথম দুই দিন চশমা খাল ও এর সাথে যুক্ত নালায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আজ এ খাল ও নালার সাথে যুক্ত মির্জা খালও পর্যবেক্ষণের আওতায় আনে ফায়ার সার্ভিস।
গত সোমবার বিকেলে নগরের ষোলশহর শপিং কমপ্লেক্সের বিপরীতে চশমা খালে বোতল কুড়াতে নেমেছিল কামাল ও তার বন্ধু রাকিব উদ্দিন (১২)। সেখানে তারা সাঁতার কাটার পরিত্যক্ত খেলনা পায়। সেটি নিয়ে দু’জনেই সাঁতার কাটতে থাকে, সাথে কুড়াতে থাকে বোতল। একপর্যায়ে পানির স্রোতে দু’জনই উল্টে পড়ে। রাকিব কোনোভাবে উঠতে পারলেও তলিয়ে যায় কামাল। ভয়ে সে খবর সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে জানায়নি রাকিব। সন্ধ্যার পর ছেলে কামালের খোঁজ শুরু করেন বাবা আলী কাওসার। পরে জানতে পারেন ছেলের খালে তলিয়ে যাওয়ার খবর। এরপর নিজেই খালে নেমে পড়েন। রাতভর খোঁজ করে ব্যর্থ হন তিনি। তবে শিশু তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস জানতে পারে মঙ্গলবার বিকেলে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। আলী কাওসারের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে কামাল সবার ছোট। বাবার সাথে নগরের ষোলশহর স্টেশনে থাকত সে।
গত ২৫ আগস্ট জলাবদ্ধতার সময় চশমা খালের মুরাদপুর এলাকায় তলিয়ে গিয়েছিলেন সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ (৫০)। এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ৩০ জুন মেয়র গলিতে একই খালে পড়ে যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা, এতে চালকসহ দু’জন মারা যান। ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদে নালায় পড়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া (১৯)।