মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে গণ সংযোগ এবং মতবিনিময় সভা করতেছেন। মরহুম এরশাদ মিয়া চেয়ারম্যান সাহেবের নাতি, মরহুম সিরাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান সাহেবের এর মেজো ছেলে ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল মোতালেব তরফদার সাহেবের ভাতিজা, কমলগঞ্জ উপজেলাধীন ৩নং মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাহিদ আহমেদ তরফদার। তিনি একজন প্রকৌশলী। তিনি ১৯৯৩ সালে কালিপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৫ সালে মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড এর অধীনে “সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে” পড়াশোনা শেষ করেন। বর্তমানে তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এর পাশাপাশি এই ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ। এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি একাধারে ২৩ বছর যাবৎ মুন্সীবাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি মুন্সীবাজার দুর্গা বাড়ি সহ বিভিন্ন পুজা মন্ডপে বিভিন্ন পুজার সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। খেলাধুলার প্রতিও তার আগ্রহ অনেক বেশি। এলাকায় গণসংযোগ, উঠোন বৈঠক চালাচ্ছেন ওই তরুণ নেতা। প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন হাটবাজার, গ্রামগঞ্জ এবং মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে সাধারণ ভোটারদের নিয়ে আলাপচারিতা করতে দেখা যাচ্ছে। ফলে কর্মী সমর্থক ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের মাঝে আলোচনায় এসেছেন তিনি। দোকানদার, ব্যবসায়ী ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন । তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সাধন করে মডেল ইউনিয়ন গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদ আহমদ তরফদার জানান, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, উন্নয়নের অঙ্গিকার নিয়ে মাঠে কাজ করছি আমরা। একটি মডেল আদর্শ ইউনিয়ন, ইউনিয়নবাসীদেরকে উপহার দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। গরীব, মেহনতী, অসহায় মানুষের সেবা করা আমাদের উদ্দেশ্য। অনাহারে থাকবে না আমাদের ইউনিয়নের একটি পরিবারও। আমি একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন থেকে আপদে-বিপদে মানুষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে তিনি সব সময় এগিয়ে থাকেন। ২০১৮ সালের বন্যার সময় যখন চারিদিকে কান্না আর হাহাকার ছিল খাবারের জন্য, তখন উনার পরিবার দাঁড়ায় অসহায় মানুষের পাশে। সারাবিশ্ব যখন মহামারী কোভিড-১৯ তথা করোনার ভয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল, কর্মহীন হয়ে পড়েছিল আমাদের এলাকার অনেক মানুষ, অনাহারে বসে ছিল ঘরে, তখন ঘরে ঘরে নিজ দায়িত্বে স্ব-শরীরে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। মুন্সিবাজার ইউনিয়নবাসীর সেবা করা ও উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্যই নির্বাচন করছি। আমার বিশ্বাস, দল মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ আগামী ৫ই জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাকে জয়যুক্ত করবে।