তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা ও অন্যতম শহর ইস্তান্বুলের আদলে রাজধানী ঢাকায় আন্ডার গ্রাউন্ড সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) মাধ্যমে চারটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নগরবাসী এসটিএসের সুরঙ্গ মুখের ঢাকনা সরিয়ে ময়লা ফেলতে পারবেন। যা চলে যাবে মাটির নিচে থাকা নির্ধারিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে। সেখান থেকে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ল্যান্ড ফিলে নিয়ে যাবেন। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তুরস্কে সফররত মেয়র জানান, বর্তমানে বর্জ্যের কারণে অনেক স্থানে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অনেক এলাকায় মাটির ওপরে জায়গা সংকটের কারণে ময়লা রাখা যাচ্ছে না। ঢাকা বাস অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আবার যত্রতত্র ময়লা ফেলছেন মানুষ। এ থেকে মুক্তি দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি। তুরস্কের ইস্তান্বুল ও আঙ্কারা শহরেও এমন ব্যবস্থাপনা রয়েছে। মেয়র আতিকুল ইসলাম সেগুলো পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, ডিএনসিসির চারটি নির্ধারিত স্থান হচ্ছেÍ তিনশ’ ফুট এলাকা, মিরপুরে ৬০ ফুট সড়ক, আগারগাঁওয়ের শহীদ মাহবুব সরণি এবং হাতিরঝিলের শুটিং ক্লাব। এরই মধ্যে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে (বিএমটিএফ) এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন আবাসন কোম্পানিগুলোকে তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মাটির নিচে স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, ‘এই আন্ডারগ্রাউন্ড বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সফলতা নিয়ে আমি আঙ্কারার মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করবো। তারা কীভাবে এই প্রক্রিয়াটি সফল করেছেন, সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেবো। যেহেতু আমাদের মাটির ওপরে জায়গা সংকট রয়েছে। তাই আমরা পর্যায়ক্রমে শহরের প্রতিটি এলাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঘর নির্মাণ করবো। যেন আমরা বিশেষ পদ্ধতিতে বর্জ্যগুলো সংগ্রহ করে ডিসপোজাল করতে পারি।’ বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। সব বর্জ্য ল্যান্ডফিলের নেওয়া সম্ভব হয় না। কিছু অংশ নগরে থেকে যায়। এছাড়া যত্রতত্র ময়লা পড়ে থাকে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে নতুন এই উদ্যোগ নিচ্ছে ডিএনসিসি।