প্রধানমন্ত্রী দেশে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জন্য আহ্বান করলেও আমলাতন্ত্রের কাছে মার খান বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গত বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সেমিনার, প্রকাশনা ও বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলে রাজনীতিবিদদের তুলনায় আমলারা অনেক বেশি কর্তৃত্ববাদী। আমাদের দেশেও আমলারা কর্তৃত্ববাদী। কেননা আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য ফুলের মালা আর দুধ নিয়ে বসে থাকি। তাদের আহ্বান জানাই এ দেশে এসে বিনিয়োগ করার জন্য। কিন্তু তারা যখন বিমানবন্দরে নামেন তখন হয়রানির শিকার হন। তারা চান দ্রুত ইমিগ্রেশন, লাগেজ যাতে দ্রুত পায়, এসব কাজই এখানে অনেক দেরিতে হয়। এছাড়া বিনিয়োগ করতে গিয়ে আমলাতন্ত্রের মধ্যে পড়ে যায়। এরকম উদাহরণ আরও আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দারিদ্র্য নিরসনে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আঞ্চলিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অর্থনীতি আছে। এজন্য আমাদের দক্ষতা ও শ্রমিকের মান বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সবসময় বাজার নিয়ে কথা হয়। কিন্তু মাছের বাজার আর তেলের বাজার এক নয়। তেল অর্থাৎ জ্বালানি তেল ও অস্ত্রের বাজার বড় বাজার। এ বাজারের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি বা কম শুধু অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, এটি আন্তর্জাতিক বিষয়ও। ডিজেএফবির সভাপতি হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী। ‘এলডিডিসি উত্তরণ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
আলোচনায় অংশ নেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, শরিফা বেগম এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব আব্দল বাকী।