দেশের উত্তর অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বছরের প্রথম সপ্তাহে এটি অব্যাহত থাকবে। এই শৈত্যপ্রবাহ বিস্তৃত হয়ে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শৈত্যপ্রবাহের ফলে বাড়বে শীতের প্রকোপ। আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস জানান, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামসহ রংপুর বিভাগের কিছু জায়গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এটি দেশের অন্যত্র বিস্তৃত হতে পারে। সপ্তাহখানেক চলবে এই শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় সারাদেশের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করবে।
তিনি আরও জানান, জানুয়ারি মাসে আরও দুটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বড় এলাকা জুড়ে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে মৃদু; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা (১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে। রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি থেকে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া সাধারণ শুষ্ক থাকবে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং উত্তরাঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিন্ম ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল।