রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১২:১২ অপরাহ্ন

ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ: জগদ্বিখ্যাত এক সংগীতজ্ঞের সংগ্রামী জীবনকাহিনী

নাইম আহমেদ
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

সফল মানুষদের জীবন যেন রূপকথার গল্পের মতো। সবাই তাদের সফলতা নিয়ে গর্ব করে। অসংখ্য মানুষ তাদেরকে অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন। স্মরণীয় বরণীয় হবার পর সবাই তাদের সফলতার গল্পে মেতে ওঠেন। কিন্তু যে চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তারা শ্রেষ্ঠ হন সেই গল্পটা থাকে অনেকেরই অজানা। আজ আমরা এমনই একজন সফল মানুষের জীবনের সংগ্রাম, শ্রম, সাধনা ও অধ্যবসায়ের গল্প জানার চেষ্টা করবো, যিনি এককালে হয়ে উঠেছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞ।
ঘটনার পটভূমি ভারতের অন্যতম সামন্তরাজ্য রামপুরায়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের কথা। একদিন সকালে এক যুবক বেরিয়েছেন কাজের সন্ধানে। হাতে নেই পয়সা কড়ি। রোজগার করতে হবে, নইলে আজও খাবার জুটবে না। অজানা, অচেনা শহরে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে লাগলো সে। গতরাতে পেটে পড়েনি কিছুই, সকালে নাস্তাও করতে পারেননি। ক্ষুধা পেটে বেরিয়েছে কাজের সন্ধানে।
হঠাৎ থমকে দাঁড়ালো সে। দেখতে পেলো কিছু লোক দিনমজুরির কাজ করছে। সঙ্কোচ আর দ্বিধাজড়িত পদে যুবক এগিয়ে গেল সেখানে, তারপর তাদের কাছে কাজ চাইলো। অপরিচিত যুবকের দিকে সবাই বিস্মিত চোখে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ। দিনমজুরির কাজ! পারবে তো? যুবক মাথা নেড়ে জানালো। হ্যাঁ, অবশ্যই পারবো। অবশেষে কাজ পেলো যুবক, পরিশ্রমের কাজ, ইট-পাথর টানতে হবে। কিছু করার নেই, কাজে লেগে গেলো সে।
প্রখর রোদের তাপে সারা দেহ ঘামিয়ে ভিজে গেল। তবুও বিরাম নেই। বিকাল নাগাদ একটানা কাজ করলো। সন্ধ্যায় অল্প কিছু পয়সা হাতে পেলো। সারাদিনের রোজগার। আনন্দে তার সারা মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। বাজার থেকে কিছু খাবার কিনে ঘরে ফিরলো সে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে ক্লান্ত দেহ বিছানায় এলিয়ে দিলো। কিন্তু গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেল। আরেকটি কাজ তার বাকি রয়ে গেছে, এখন তাতে মশগুল হতে হবে। তাই প্রাণের চেয়েও দামি বাদ্যযন্ত্রটি বুকে টেনে নিলো সে। সুর তুলতে থাকলো ধীরে ধীরে। অন্ধকার ছোট ঘরটা সুরে সুরে ভরে উঠতে থাকলো। সারাদিনের পরিশ্রমের ক্লান্তি যেন ধুয়ে মুছে যেতে থাকলো। ক্রমাগত সুরের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেল যুবক।
সকাল হলো। আবার কাজে বেরিয়ে পড়লো সে। একই কাজ। গতদিনের মতোই সন্ধ্যায় ফিরে এলো। গভীর রাতে ফের যন্ত্রে সুর তুললো সে। এভাবেই চলতে থাকলো জীবন। কাজ-ঘুম-গান এই যেন এক রুটিন তার। এভাবেই দিনের পর দিন এগিয়ে চললো। দিনে কাজ আর রাতে বাদ্যযন্ত্রের রেওয়াজ। মূলত একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই অচেনা শহরে এসেছে যুবক, সুদূর বাংলামুলুক থেকে এসেছে সে। সংগীত শেখার নেশায় এক ওস্তাদের সন্ধানে। মনের আশা কোনোভাবেই পূরণ হচ্ছিলো না। তাই প্রতীক্ষার পালাও শেষ হচ্ছে না তার।
গুরুর নাগাল মেলেনি এখনো। তাই এভাবে আর কতদিন ইট-পাথর টেনে জীবন কাটাতে হবে, তা-ও জানে না সে। তবে তার ধৈর্য আর সংকল্প অটুট। একাগ্রতা তার অফুরন্ত। তার বিশ্বাস, একদিন তার স্বপ্ন পূরণ হবেই। মিলবে তার সেই কাঙ্ক্ষিত গুরুর সাক্ষাৎ।অপরিচিত রামপুরা শহরে যুবক ঠাঁই পেয়েছে একজন দারোয়ানের ঘরে। ঠিকানাবিহীন যুবক দারোয়ানের কাছে আশ্রয় চাইলে দারোয়ানের খুব মায়া হয় যুবকের প্রতি। ফলে তিনি আশ্রয় দেন তাকে। অল্প কয়েকদিনে যুবকটিকে খুব পছন্দ করে ফেলেন দারোয়ান ভদ্রলোক। যুবকের বাজনা তিনি খুব ভালোবাসেন।
যে গুরুর দর্শন লাভের জন্য যুবক উদগ্রীব, সেই গুরু এই দারোয়ানের মনিব। যুবক তা জানতো না, দারোয়ানও জানতো না যুবকের বাসনার কথা। একদিন আলাপচারিতার সময় দারোয়ানের কাছ থেকে সেই কথা জানতে পারলো যুবক। যুবক বুঝতে পারলো, ভাগ্যক্রমে গুরুর বাড়িতেই স্থান পেয়েছে সে। এখন বাকি শুধু গুরুর দর্শন লাভের।
দারোয়ানের ঘরটি বাড়ির এক কোণায়। অবশেষে একদিন যুবক দারোয়ানকে তার মনের সকল কথা খুলে বললো। দারোয়ান যুবককে সর্বাত্মক সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করলেন। মনিবের কাছে যুবকের মনের ইচ্ছা জানানোর সুযোগ খুঁজছিলো দারোয়ান, কিন্তু পাচ্ছিলেন না। যুবক এক কঠিন ধৈর্যের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। আত্মবিশ্বাস এই ধৈর্য পরীক্ষায় সফল হওয়ার মূলমন্ত্র। তার বিশ্বাস ছিল, গুরু যদি একটিবার তার বাজনা শোনেন, তাহলে তাকে অবশ্যই নিজের চরণতলে আশ্রয় দিবেন। কিন্তু তারপরও অনেকদিন কেটে গেল। কোনোভাবেই কাজ হচ্ছিলো না।
একরাতে যুবক তার প্রিয় যন্ত্র বাজাচ্ছিলো। মন ডুবে গেছে সেই সুরের অতলে। ঘরের দরজা বন্ধ। সমস্ত ঘর অন্ধকার। মনে সুরের অফুরন্ত আলো। হঠাৎ সুর থেমে গেল। দরজায় অনবরত কে যেন ধাক্কা দিচ্ছে। যুবক যন্ত্রটা সযতেœ নামিয়ে রাখলো। বিরক্তিবোধ করলো সে, তবুও দরজার দিকে এগিয়ে গেল। দরজা খুলে দিলো। এক ঝলকে জোছনার সমগ্র আলো ঢুকে পড়লো তার ঘরে। যুবকের চোখে রাজ্যের বিস্ময়! নিজের সৌভাগ্যকে বিশ্বাস হচ্ছিলো না। ওস্তাদজী স্বয়ং তার দোরগোড়ায় এসেছেন!
যুবকের এই কাঙ্ক্ষিত ওস্তাদজী হলেন রামপুর রাজ দরবারের সভাবাদক ওস্তাদ ওয়াজির খাঁ। গভীর রাতে জলসা থেকে ফিরছিলেন তিনি। হঠাৎ সিঁড়ির গোড়ায় থমকে দাঁড়ালেন তিনি। একটি অপূর্ব সুরের ঝঙ্কার তার কানে পৌঁছালো। তিনি বদ্ধ ঘরের দিকে এগিয়ে গেলেন। রুদ্ধ দুয়ারের ওপাশ থেকে সুরবাহারের সুর ভেসে আসছিলো তার কানে। তার ঘরানার সুর। কে বাজাচ্ছে এই সুর!
বিস্ময়ে ওস্তাদ হতবাক! সামনে এক নতজানু যুবক দ-ায়মান। নিমিষেই যুবক আনত মস্তকে পদধূলি নিতে থাকলো। সম্বিত ফিরে পেলেন ওস্তাদজী। কে এই যুবক? কোথা থেকে এসেছে? কেন এসেছে? কার কাছ থেকে তার ঘরানার বাজনা শিখেছে? অনেক প্রশ্ন তার মনে। হাজার প্রশ্নের ভিড়ে যুবক আবার মাথা নত করে দাঁড়িয়ে রইলো। চোখে তার অশ্রু, আনন্দের অশ্রু। গুরুজীর দর্শন লাভ ঘটলো। তার দীর্ঘদিনের ধৈর্যের আজ পরিসমাপ্তি। যুবক তার নিজের কাহিনী গুরুর কাছে খুলে বললো। সুদূর বাংলা মুলুকের এই প্রতিভাবান শিল্পীর নাম আয়েত আলী খাঁ। ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ। উপমহাদেশের সঙ্গীত জগতের এক অবিস্মরণীয় নাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিবপুর গ্রাম যেন একটি সঙ্গীতময় গ্রাম। এই গ্রামেই আয়েত আলী খাঁর জন্ম। বাবার নাম সবদার হোসেন খাঁ। ডাক নাম সদু খাঁ। তিনি ছিলেন আগরতলা রাজ দরবারের সভাবাদক ওস্তাদ কাশেম আলী খাঁর সাগরেদ। সদু খাঁর পাঁচ পুত্র ছমির উদ্দিন খাঁ, আফতাবউদ্দিন খাঁ, আলাউদ্দিন খাঁ, নায়েব আলী খাঁ ও আয়েত আলী খাঁ। পাঁচ পুত্রের সর্বকনিষ্ঠ আয়েত আলী খাঁ।
আয়েত আলী খাঁ বাল্যকাল থেকেই সঙ্গীতের প্রতি অনুরক্ত। বাবা শিল্পী। বড় ভাইয়েরা সবাই শিল্পী। পরিবারের সকলের রক্তে সঙ্গীতের ধারা প্রবাহিত। পিতা সম্ভাবনার হাতছানি দেখেছিলেন আয়েত আলীর মধ্যে। তাই ছোটবেলা থেকে তিনি সঙ্গীতচর্চায় বাধা দেননি। কিন্তু মা দিয়েছিলেন। একের পর এক ছেলে তার সঙ্গীতের পেছনে ছুটে পর হয়ে যাচ্ছিলো। মায়ের হৃদয় তা মানতে রাজি নয়। অন্তত ছোট ছেলেকে নিজের আঁচলে বেঁধে রাখতে চাইতেন। মায়ের সেই প্রচেষ্টাও শেষপর্যন্ত সফল হলো না।
আয়েত আলীর বয়স যখন মাত্র দশ বছর, তখন তার সঙ্গীতের তালিম শুরু হলো। প্রথম গুরু মেজো ভাই ফকির আফতাবউদ্দিন। সঙ্গীতে তিনি পারদর্শী ছিলেন। ছোট ভাইকে নিজের সবটুকু দিয়ে শেখালেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে চললো তার কাছে সরগম সাধনা। রেয়াজ করলেন রাগরাগিণী। তারপর ঘর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে পড়লেন আয়েত আলী খাঁ।
অগ্রজ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ তখন ভারতের মাইহার রাজ্যের সভাবাদক। আয়েত আলী খাঁ তার কাছে চলে এলেন। সংগীত শিক্ষার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হলো। অনুজকে সযতেœ তালিম দিতে শুরু করলেন আলাউদ্দিন। কয়েক বছর কাটলো। সংগীত সাধনা চললো অবিশ্রান্ত। আলাউদ্দিন ছোট ভাইয়ের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও একাগ্রতায় মুগ্ধ হলেন। তিনি বুঝতে পারলেন, আয়েত আলী খাঁ জীবনে উন্নতি করতে পারবেন। তবে তাকে আরও শিখতে হবে। তিনি নিজের গুরু ওয়াজির খাঁর কাছে আয়েত আলী খাঁকে পাঠিয়ে দিলেন। তবে বলে দিলেন, পরিচয় গোপন রাখতে হবে। ওস্তাদকে নিজ গুণে মুগ্ধ করতে হবে। জয় করে নিতে হবে গুরুর মন। তবেই পরিচয় দেয়া যাবে। সেজন্য চাই ত্যাগ-তিতীক্ষা ও ব্যাপক সহিষ্ণুতা। আয়েত আলী অগ্রজের উপদেশ মাথা পেতে নিলেন। যাত্রা করলেন ভবিষ্যৎ গুরু ওয়াজির খাঁর কাছে, রামপুরের পথে।
জোছনায় আলোকিত ছোট্ট ঘরটির সামনে দাঁড়িয়ে আয়েত আলী খাঁর এই কাহিনী শুনলেন বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ ওয়াজির খাঁ। জানতে পারলেন, এই যুবক তার প্রিয় শিষ্য আলাউদ্দিনের ছোট ভাই। তানসেন ঘরানার অনুসারী। মনে সঙ্গীত শেখার অদম্য আগ্রহ। ধৈর্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তার চোখেমুখে। নিমিষেই ওয়াজির খাঁ ভালোবেসে ফেললেন এই অপরিচিত যুবকটিকে। আয়েত আলী খাঁকে তিনি শিষ্যত্ব প্রদান করলেন।
আবার শুরু হলো গোড়া থেকে। এতদিন যা শিখেছে, তা কিছুই নয়, সংগীতের ভুবনে নয়া যাত্রা শুরু। প্রতিদিন ছোট ঘরটিতে রেওয়াজ করতে বসেন যুবক। ওস্তাদজী বাইরে থেকে শেকল টেনে দিয়ে যান। খাবার সময় কেবল ছাড়া পান। এ এক কঠিন সাধনা। আয়েত আলীর আত্মপ্রত্যয় ছিলো। নিষ্ঠা ছিলো। ধৈর্য ছিলো। সংগীত সাধনার অগ্নিপরীক্ষায় তিনি পরীক্ষা দিতে দিতে এগিয়ে চললেন।
দিন থেকে মাস। মাস থেকে বছর। বছরের পর বছর কেটে থাকলো। এভাবে ১৩টি বছর কেটে গেল। অবশেষে এই অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন আয়েত আলী খাঁ। এবার শুরু হলো তার কর্মজীবন। আয়েত আলী মাইহার রাজ্যের সভাবাদক হিসেবে নিযুক্ত হলেন। পরবর্তীতে তিনি প্রাচ্যদেশীয় যন্ত্র দিয়ে একটি অর্কেস্ট্রা দল গঠন করেন। তিনি প্রমাণ করে দেখালেন যে, এ দেশের যন্ত্রের কনসার্ট পাশ্চাত্যের অর্কেস্ট্রাকেও হার মানাতে পারে। রামপুরের নবাবের আমন্ত্রণে তিনি কিছুকাল সভা-সঙ্গীতরূপে রামপুরের দরবারও অলঙ্কৃত করেন।
কলকাতার এক সভায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর বাজনা শুনে মুগ্ধ হন। তাকে শান্তিনিকেতনে আমন্ত্রণ জানান এবং বিশ্বভারতীতে যন্ত্রসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করার অনুরোধ করেন। আয়েত আলী খাঁ কবিগুরুর অনুরোধ রক্ষা করেন। আয়েত আলী কেবল একজন সুরস্রষ্টা নন। তিনি একজন বাদ্যযন্ত্র উদ্ভাবকও। তিনি ‘চন্দ্র সারঙ্গ’, ‘মনোহরা’ ও ‘মন্দ্রনাদ’ নামক তিনটি বাদ্যযন্ত্র উদ্ভাবন করেন। ‘সরোদ’ ও ‘সুরবাহার’ নামক যন্ত্র দুটোর আধুনিক রূপদানের কৃতিত্বও তার। পাশাপাশি সঙ্গীতশিক্ষা প্রসারেও তার অবদান ছিল অপরিসীম। তিনি কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দুটি সঙ্গীত কলেজ স্থাপন করেন।
১৯৬০ সালে সঙ্গীতে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘গভর্নর পদক’ লাভ করেন।
১৯৬১ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার তাকে ‘তঘমা-ই-ইমতিয়াজ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘প্রাইড অফ পারফরমেন্স’ এবং ১৯৭৮ সালে মরণোত্তর ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার’ লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ‘স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার’ সম্মানে ভূষিত করেন।
ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর ছয় পুত্র ও তিন কন্যা। পুত্ররা হলেন আবেদ হোসেন খান, বাহাদুর হোসেন খান, মোবারক হোসেন খান, শেখ সাদী খান, তানসেন খান ও রুবাইয়াৎ খান। কন্যারা হলেন আম্বিয়া খানম, মমতা আহমেদ ও ইয়াসমিন খানম। তার পুত্রদের সবাই সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৬৪ সালে ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হন। এরপর ১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর এই কিংবদন্তি মৃত্যুবরণ করেন। সঙ্গীত সাধনায় তার এই দীর্ঘ লড়াই যুগ যুগ ধরে সঙ্গীত পিপাসুদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে।
সূত্র::১. মোবারক হোসেন খান, ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ, আগামী প্রকাশনী, প্রথম প্রকাশ ১৯৯৪ ২. মোবারক হোসেন খান, বাংলাদেশের মুসলিম সংগীতসাধক, চোখ প্রকাশন, প্রথম প্রকাশ ২০০৪ ১. মোবারক হোসেন খান, ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ, আগামী প্রকাশনী, প্রথম প্রকাশ ১৯৯৪ ২. মোবারক হোসেন খান, বাংলাদেশের মুসলিম সংগীতসাধক, চোখ প্রকাশন, প্রথম প্রকাশ ২০০৪




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com