কক্সবাজারের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মহেশখালী উপজেলা। এ দ্বীপের যোগাযোগ মাধ্যম একমাত্র সংযোগ সেতু। যেটি মহেশখালী সেতু নামে পরিচিত। সেতুটির পূর্বেপাড়ে প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে জীবিত নদী অবৈধ দখল করে চিংড়ী ঘের নির্মাণে প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রভাবশালীরা। এভাবে অবৈধ দখলদারের থাবা বন্ধ না হলে শঙ্কায় এ নদী। এর উপর রয়েছে হাজার হাজার জেলের একমাত্র আয়-রোজগারের উৎস। অপরদিকে ঝুঁকিতে পড়েছে মহেশখালী-বদরখালী সেতুও। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহেশখালী-বদরখালীর সেতুর পাশেই স্ক্রেভেটার দিয়ে মাটি কেটে পবাহমান নদী দখল করে দিন-রাত সমান তালে ওই প্রভাবশালীরা চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে । এতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মহেশখালী বদরখালী সেতু ঝুঁকিতে পড়েছে। স্থানীয়রা বলেন, একটি মহল স্কেভেটার ও শ্রমিক দিয়ে বদরখালী সেতুর উত্তর পাশে নদীর চর দখল করে একাধিক চিংড়ি ঘের নির্মাণ করছে। দখলের বিষয় নিয়ে জনগনের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে বদরখালীর মানুষের মধ্যে। বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন জনি বলেন, নদী দখল হচ্ছে শুনেছি। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে মিল ঘোনাটি আহমদ নামে একজনকে ইজারা দিয়েছি, নদী দখল না করে ঘের নির্মাণ না করতে সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পরিবেশ বাদীরা বলেন, প্রবাহমান নদীর দখল করে চিংড়ি ঘের নিমার্ণ জগন্যতম অপরাধ। দখলের থাবায় মহেশখালী-বদরখালী চ্যানেলের এক সময়ের প্রাণচঞ্চল এই নদীটি এখন সরু খালে পরিণত হয়ে বোবা কান্না করছে। নদীটি উদ্ধার করে প্রাণচঞ্চল ফিরে আনা সময়ের দাবি। চকরিয়া উপজেলা নিবাহী অফিসার জেপি দেওয়ান বলেন, নদী দখলকারীদের প্রশাসন কোনো সময় ছাড় দেওয়া না। আর যদি নদী দখল করে চিংড়ি ঘের নিমার্ণ করে থাকলে শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।