নড়াইলে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৮৭তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।কর্মসূচির মধ্যে ছিল সদর উপজেলার চন্ডীবরপুর ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদ নগরে শনিবার সকাল ৮টায় কোরআনখানি, সকাল ১০টায় নূর মোহাম্মদ শেখ স্মৃতিসৌধে পু®পস্তবক অর্পণ ও গার্ড অব অনার প্রদান, সকাল সাড়ে ১০টায় দোয়া মাহফিল। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও চন্ডীবরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ফকরুল হাসান,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে এসএম মোস্তফা কামাল,বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এসএ মতিন,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির প্রমূখ। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৮৭তম জন্মদিন উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্ট ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নূর মোহাম্মদ নগরে এসব কর্মসূচি পালিত হয়। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ এবং মার নাম জেন্নাতুন্নেছা। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের জন্মভূমি মহিষখোলার নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ নূর মোহাম্মদ নগর করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের কর্মময় জীবন থেকে জানা যায়, ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (তৎকালীন ইপিআর) যোগদান করেন তিনি। বর্তমানে এটি ‘বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ’ (বিজিবি) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই বাহিনীতে দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পরে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন তিনি। পরবর্তীতে ল্যান্স নায়েক হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। নূর মোহাম্মদ শেখ যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নের্তৃত্বে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ শত্রুমুক্ত করেন।১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে শাহাদাতবরণ করেন তিনি। এদিন পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ শেখ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে তাকে সমাহিত করা হয়।মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়।