বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন মেসার্স আদেল এন্টারপ্রাইজ নামে প্রকল্পের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়ার পাইপ লাইন প্রকল্পের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। সোনারগাঁও সরকারি কলেজ সংলগ্ন পানি সরবরাহ লাইনটি গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে রমজানেও পানি পাচ্ছেন না অত্র এলাকার ১০ হাজার লোক। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় অত্র ইউনিয়নের বিশেষখানা, বড়নগর, ষোল্লাপাড়া, খুলিয়াপাড়া, দমদমা, গোহাট্টা, ফুলবাড়িয়া, ডহরপাড়া, নগর সাদিপুর, বাড়িচিনিশ, ইউসুফগঞ্জ সহ ১২ গ্রামের মানুষ রান্নাবান্না, গোসল ও কাপর ধোয়াসহ নানা ধরনের গুরুত্ব পুর্ন কাজ করতে পারছে না জনসাধারণ। আসে পাশে পুকুর ও খালবিল না থাকার কারনে পানির অভাবে সাধারণ মানুষ তাদের নিত্য দিনের প্রয়োজন মিটাতে পারছেন না। রমজান মাসের শুরুতে পানি সাপ্লাই দেওয়ার কথা থাকলেও ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প কর্তৃপক্ষের গাফলতিতে পানি সাপ্লাই বন্ধ রয়েছে। এতে করে বিভিন্ন এলাকার প্রত্যেক পরিবারের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম মাহমুদ বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম-এর সাথে কথা বলে জানতে পারি, বর্তমানে মোগরাপাড়া পানির সরবরাহ লাইনটির বকেয়া ২,১৭,০০০/- টাকা। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার পরিমাণ বেশি হওয়ায় পল্লি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এলাকাবাসী জানান, গত এক মাস যাবৎ আমাদের মোগরাপাড়া এলাকার পানি সরবরাহ লাইনটিতে পানি নাই। রমজান মাসে পানি না থাকায় অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। এব্যাপারে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ফোন রিসিভ করেননা। আমরা এলাকাবাসী ঠিকমত মানসম্মত পানি থেকে বঞ্চিত। পানির রং হলুদ, সরবরাহ পানি না থাকায় আমরা অত্র এলাকাবাসী মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই দ্রুত উক্ত পানির সরবরাহের লাইনটি সচল করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন মেসার্স আদেল এন্টারপ্রাইজ নামে প্রকল্পের পরিচালককে অনুরোধ জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বিশেষখানা এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন মেসার্স আদেল এন্টারপ্রাইজ নামে প্রকল্পটি স্থাপিত হয়। শুরু থেকেই জনসাধারণকে মানসম্মত পানি সরবরাহ দিতে পারছিলনা প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারায় বিদ্যুৎ অফিস পানি সরবরাহের লাইন বন্ধ করে দেয়। মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু বলেন, প্রকল্প প্রধানের সাথে অনেকবার কথা বলেছি। রমজানে যাতে পানি সাপ্লাই দেয় সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে।