ডায়েট করলে দ্রুত ওজন ঝরে, এ কথা ঠিক। তবে সেই ওজন দীর্ঘ দিন ধরে রাখা যায় না। শরীরে মেদ জমার সবচেয়ে বড় কারণ আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। অতিরিক্ত ওজন মানেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ এমনকি ক্যানসারের মতো বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। সুস্বাস্থ্য পেতে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতেই হবে। তবে ওজন ঝরাতে হবে বলে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলে চলবে না। সঠিক পদ্ধতিতে মেনে ডায়েট না করলে শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।
অন্যদিকে, ডায়েটের নামে আমরা অনেক খাবারই খাদ্যতালিকা থেকে একেবারে বাদ দিয়ে দিই। পছন্দের খাবার খেতে মন চাইলেও ওজন বাড়ার ভয়ে খেতে পারি না। খাদ্যের পরিমাণের কমালেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যেমন-
ভাত: শরীরে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তাই ভাত-রুটি একেবারেই ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে দেয়া উচিত নয়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ ভাত খেলে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই ভাতের পরিমাণ কমিয়ে ডাল, শাকসব্জি, মাছ, মুরগির মাংস বেশি করে খেতে পারেন।
আলু: আলু খেলেই মোটা হয়, এ ধারণা কিন্তু ভুল। মাছ, মাংস, সব্জিতে পরিমিত মাত্রায় আলু দিলে তা শরীরের ক্ষতি করে না। আলু সেদ্ধ করেও খাওয়া যেতে পারে। তবে আলুর চিপ্স শরীরের ক্ষতি করে। নিয়মিত আলুর চিপ্স খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
বাদাম: বিভিন্ন রকম শুকনো ফল, যেমন, কাজু, কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তা ভালো ফ্যাটের দারুণ উৎস। স্বাদ তো বটেই, সঙ্গে ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার ও নানা খনিজ পদার্থে ভরপুর ড্রাই ফ্রুটস সুস্বাস্থ্য পেতেও দারুণ উপকারী। পরিমিত মাত্রায় এ সব খেলে ওজন বাড়ে না।
ফল: ডায়েট করার সময়ে অনেকেই ফল এড়িয়ে চলেন। তারা মনে করেন ফলে থাকা প্রাকৃতিক শর্করার ওজন বেড়ে যেতে পারে। এই ধারণা ভুল। রোজের খাদ্যতালিকায় ফল রাখতেই হবে। শরীরে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিনের ঘাটতি মেটাতে ফলের কোনো জুড়ি নেই।
ডিম-মাংস: ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এ ভুল ধারণার জন্য অনেকেই ডিম এড়িয়ে চলেন। ডিম আসলে প্রোটিনের দারুণ উৎস। নিয়মিত দু’টি ডিম খাওয়া যেতেই পারে। ওজন ঝরাতে হলে রেড মিট না খাওয়াই ভালো। তবে খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন রকম সামুদ্রিক মাছ, মুরগির মাংস রাখা যেতেই পারে।