সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করেছিল গুজরাত টাইটান্স। তারপর দু’দলই একের পর এক হার্ডেল টপকে জায়গা করে নিয়েছিল লিগ টেবিলের ওপরের দিকে। লক্ষ্য ছিল, মঙ্গলবার জিতে প্রথম দল হিসেবে চলতি মরশুমে প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করা। সেই লড়াইয়েও বন্ধু লোকেশ রাহুলকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন হার্দিক পান্ডিয়া। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৬২ রানে জিতে প্রথম চারে জায়গা পাকা করল গুজরাট। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৪ রান তোলে তারা। জবাবে ১৩.৫ ওভারে মাত্র ৮২ রানে গুটিয়ে গেল লখনউয়ের ইনিংস।
চলতি আইপিএলের শুরুর দিকে টস জিতে রান তাড়া করাই ছিল জেতার রেসিপি। শিশিরের কারণে পরের দিকে বোলারদের কাজটা কঠিন হয়ে উঠছিল। সেই ফর্মুলাতে এখন পরিবর্তনের হাওয়া। শেষ চার ম্যাচে রান তাড়া করা দলের সঙ্গী হয়েছে ব্যর্থতা। পাল্টে যাওয়া সেই রেসিপি মেনেই মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তবে মন্থর পিচে ব্যাটসম্যানরা বড় স্কোর খাড়া করতে পারলেন না। ৪৯ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকলেন শুভমান। দেড় শ’র কাছাকাছি পৌঁছে দিলো গুজরাতকে। মিলার (২৬) ও তেওয়াটিয়া (অপরাজিত ২২) গিলের সঙ্গ দিলেন। তবে ঋদ্ধিমান (৫), ওয়েড (১০), হার্দিকরা (১১) রান পাননি। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত উইকেট হারায় লখনউ। কুইন্টন ডি’কক (১১), অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (৮), করন শর্মা (৪), ক্রুনাল পান্ডিয়া (৫), আয়ুষ বাদোনি (৮) ও মার্কাস স্টোয়নিসরা (২) কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। দীপক হুদা লড়াই চালালেন যোগ্য সঙ্গীর অভাবে তাকেও থামতে হলো ২৭ রানে। গুজরাতের হয়ে রাশিদ খান ৪ উইকেট নেন। সূত্র : বর্তমান