জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সপ্তম দিনে যুক্তরাষ্ট্রের সত্তরটির বেশি শহরে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বিভিন স্থানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অবস্থানে পুলিশের ধরপাকড়, লাঠি চার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির ৪০টিরও বেশি শহরে কারফিউ কার্যকর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, বিক্ষোভের সপ্তম দিনেও ভাঙচুর-লুটপাট ও বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বেশ কিছু সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আন্দোলনের সূত্রপাত হওয়া মিনিয়াপোলিসে আজ অন্য আবহ বিরাজ করছে। জর্জ ফ্লয়েডের ভাই টেরেন্স ফ্লয়েড প্রথমবারের মতো বিক্ষোভকারী ও সমর্থকদের সাথে কথা বলেন। টেরেন্স ফ্লয়েড সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান। মিনিয়াপোলিসের যে স্থানে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করা হয়েছিল সেখানে শত শত ফুল ও শোক বার্তা রেখে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। সবমিলিয়ে মিনিয়াপোলিস আজ একেবারেই শান্ত। একরাশ ক্লান্তি আর হতাশা নিয়ে বিক্ষোভকারীদের জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার স্থানে বসে থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে গতকাল রাতেও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর থেকে প্রায় দেড় শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিক্ষোভের এমন পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিক্ষোভকারীদের ওপর কঠোর ও বল প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। বল প্রয়োগের এমন নির্দেশনায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপরও চড়াও হতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
গত ২৫ মে পুলিশ অন্যায়ভাবে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করছে এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এ থেকেই মূলত আন্দোলনের সূত্রপাত। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে অন্যায়ভাবে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করে। এ সময় জর্জ ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র