জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পাট ক্ষেতে পঁচারী রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পাট চাষীরা। অপর দিকে গত সপ্তাহে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাটের জমিতে পানি জমে থাকায় অনেক কৃষকের সম্পূর্ণ জমির পাট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এ উপজেলার পাট চাষীরা।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে আম্পান ঝড়ের কারণে অনাবরত বৃষ্টির ফলে মাঠের অধিকাংশ জমির পাট ক্ষেতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আবার যে পাট গুলো একটু বড় হয়েছে সেগুলোর মাঝখানে কালচে দাগ হয়ে পঁচে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকরা পাট ক্ষেতে ঔষধ স্প্রে করতে বললেও ক্ষেতের পাট গাছ বড় হওয়ার কারনে ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন কাজে আসছে না।
উপজেলা ধরঞ্জী গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, তার ৪ বিঘা জমির অর্ধেক পাট আম্পানের সময় হওয়া বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। একই কথা বলেন, শ্রীমন্তপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার , ফারায়েজ হোসেন, সামছুল আলম।
অপরদিকে পাড়ইল, রতনপুর, রামভদ্রপুর কড়িয়া গ্রামের একাধিক কৃষক বলেন, যে পাট গুলো কোমর পর্যন্ত বড় হয়েছে সে পাট গুলোর মাঝখানে কালচে দাগ দেখা দিয়ে দু একদিরে মধ্যে পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাট বড় হওয়ার কারনে সঠিক ভাবে ঔষধ প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।
উপেজলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ০১টি পৌরসভায় মোট ১হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারনে ১৮৫৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করে প্রেরণ করেছে কিন্তু মোট কত হেক্টর জমির পাট ক্ষতিগ্রত হয়েছে তা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফর রহমান জানান। তিনি আরো বলেন, পঁচারী রোগে আক্রান্ত পাট ক্ষেতে সপ্তাহে দুদিন করে চ্যাম্পিয়ন-৭৫ নামের ২মিঃলিঃ ঔষধ ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে এ রোগ সেরে যাবে।
এমএস/প্রিন্স/প্রতিনিধি