চলছে আমের মৌসুম। বছরের বাকি সময়েও আম খেতে চাইলে এখনই সংরক্ষণ করে ফেলুন। সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করলে ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকবে আম। জুস, স্মুদি, পুডিং কিংবা যেকোনো ডেসার্ট বানিয়ে ফেলতে পারবেন সংরক্ষণ করা আম দিয়ে। জেনে নিন আম সংরক্ষণের কয়েকটি পদ্ধতি। : ১। আম টুকরো করে কেটে নিন। আঁটির চারপাশ থেকে আম কেটে নিয়ে আঁটি ফেলে দিন। এবার বক্সে আমের টুকরো নিয়ে মুখবন্ধ করে নিন শক্ত ঢাকনা দিয়ে। রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে। ২। আম সংরক্ষণ করতে পারেন জিপলক ব্যাগে। এজন্য আম ছোট টুকরা করে কেটে জিপলক ব্যাগে নিয়ে নিন। মুখবন্ধ করে সামান্য একটু ফাঁকা রাখুন। ঐ ফাঁকা অংশ দিয়ে স্ট্র ঢুকিয়ে ভেতরে থাকা বাতাস বের করে মুখ পুরোপুরি সিল করে দিন। রেখে দিন ফ্রিজারে। ৩। আমের পিউরি করে সংরক্ষণ করতে পারেন। এজন্য ব্লেন্ডারে মসৃণ করে ব্লেন্ড করে বরফ জমানোর ট্রেতে করে রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে। ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর বের করে ট্রে থেকে আমের বরফগুলো আলাদা করে নিন। সেগুলো জিপলক ব্যাগে নিয়ে বাতাস বের করে সিল করে দিন। রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে। ৪। চাইলে আস্ত আমও সংরক্ষণ করতে পারেন। আস্ত আম খবরের কাগজ দিয়ে মুড়ে জিপলক ব্যাগ বা মুখবন্ধ প্লাস্টিকের র্যাপে নিয়ে রেখে দিন ফ্রিজারে।
পাকা আম সংরক্ষণের ৪ পদ্ধতি ও কিছু টিপস। জেনে নিন: সংরক্ষণের জন্য বেশি পাকা আম নেবেন না। খানিকটা শক্ত ও খোসায় কোনও দাগ নেই এমন আম বাছাই করুন। অতিরিক্ত পাকা আম সংরক্ষণ করতে চাইলে পিউরি করে তারপর সংরক্ষণ করবেন। আম সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সবসময় ছোট বক্স বা ছোট জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করবেন। এতে প্রয়োজন মতো বের করে নেওয়া যাবে। নাহলে অল্প খানিকটা আম প্রয়োজন হলে পুরো বক্সই ডিফ্রস্ট করতে হবে। এতে আমের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চাইলে মোরব্বা, আমসত্ত্ব কিংবা আচার বানিয়েও আম সারা বছর খেতে পারেন।