বরিশালের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর দীঘি থেকে বড়শিতে ৩০ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। এছাড়া ২০ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাস মাছও ধরেন রাজিব আহম্মেদ। ৫ হাজার টাকায় টিকিট সংগ্রহ করে মাছগুলো ধরেন তিনি। গত বুধবার বিকালে বিশালাকৃতির কাতল মাছটি উঠে আসে শৌখিন মৎস্য শিকারি বরিশালের নবগ্রাম রোড এলাকার বাসিন্দা ও মৎস্য শিকারি রাজিব আহম্মেদের বড়শিতে। তিনি জানান, আমরা কয়েক বন্ধু মিলে ৫ হাজার টাকায় টিকিট সংগ্রহ করে ৪৪ নম্বর সিটে বড়শি ফেলি। সকাল থেকে তেমন কোনো মাছ শিকার না হলেও বিকাল ৪টার দিকে টোপ ফেলতেই উঠে আসে বিশাল আকৃতির একটি কাতল মাছ। মাছটি নিস্তেজ করে ডাঙায় তুলতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। এছাড়া ২০ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাস মাছও ধরা পড়েছে। তিনি আরও জানান, বিকালের সময়টি মাছ শিকারের জন্য উপযুক্ত। কারণ শুধু আমরাই না আশপাশের সিটের অন্য শিকারিরাও একই সময়ে ১২ কেজি ওজনের কাতল, ১০ কেজি ওজনের ব্রিগেডসহ বেশ কিছু বড় আকৃতির মাছ ধরতে পেরেছেন। মৎস্য শিকারি রাজিব আহম্মেদ বলেন, বড় মাছটি ক্রয়ের জন্য অনেকেই এসেছিলেন। কিন্তু আমরা বিক্রি করিনি। বন্ধুরা ভাগ করে মাছটি পরিবারসহ খাব।
বাবুগঞ্জের মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিশাল এই দুর্গাসাগর দীঘি থেকে মাছ ধরার নির্দিষ্ট সময়ে অনেক বড় বড় মাছ বড়শিতে ধরা পড়ে। অভিজ্ঞ মৎস্য শিকারি হলে ৩০ থেকে ৫০ কেজি ওজনের মাছও তীরে উঠানো সম্ভব। বুধবার সন্ধ্যার দিকে ৩০ কেজি ওজনের কাতল মাছ বড়শিতে ধরা পড়ার খবরে আমিও গিয়েছিলাম মাছটি দেখতে। খবর পেয়ে আমার এলাকার অনেকেই গিয়েছিলাম দুর্গাসাগরে মাছ ধরতে। ৩০ কেজির শুধু কাতলই নয়, ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনেরও কয়েকটি মাছ ধরা পড়েছে পাশে থাকা ব্যক্তিদের বড়শিতে।