গ্রীষ্মের ফুলকপি চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন কুমিল্লার দেবিদ্বারের কৃষক মো. ইউসুফ মিয়া। এ ফুলকপিতে নেই জীবনের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের প্রভাব। জৈববালাই নাশক ও কেঁচো সার ব্যবহারে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন মো. ইউসুফ মিয়া। তিনি এলাকায় ‘আধুনিক কৃষক’ খ্যাত। বৈরী প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও ফুলকপির ব্যাপক চাষ হয়েছে। তিনি উপজেলার বরকামতা গ্রামের বাসিন্দা। ১ একর জমিতে ফুলকপির ১২ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে। ফুলকপির একেকটির ওজন ৮শত থেকে ১২শ গ্রাম। তিনি জানান, শীতকালের চেয়েও ভালো ফলন পেয়েছি। বর্তমানে বাজারে গ্রীস্মকালীন ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। আশানুরুপ ফলন পাওয়ায় তার আশপাশের কৃষকরাও গ্রীস্মকালীন ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও ফুলকপি ক্ষেতে চাষ করেছেন মরিচ ও ধনিয়াপাতা। এটাকে এলাকার লোকজন ‘ফাউ’ ফসল বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি জানান, ফুলকপির বীজ বপনের সময় অনেকেই বলেছে পাগলামি ছাড়! উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, ইউসুফ মিয়া ফুলকপি চাষে সফল হয়েছেন। এটা উপজেলায় গ্রীষ্মকালে প্রথম ফুলকপি চাষ।