সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন

চরফ্যাশনে ছোট গরুর চাহিদা বেশী

অশোক সাহা চরফ্যাসন :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২

আর মাত্র ৩দিন পরেই পবিত্র ঈদ উল আযহা। প্রতিবারের মত এবারও চরফ্যাশন উপজেলায় বসছে স্থায়ী এবং অস্থায়ী পশুর হাট। উপজেলা প্রশাসন থেকে এরই মধ্যে হাটগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে চরফ্যাশন পৌরসভাসহ ৪ থানায় ২১টি ইউনিয়নে এবার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে পশুর হাট বসছে প্রায় ৬০টি। ভারতীয় গুরু রপ্তানী না হওয়ায় গরুর মূল্য বেশী রয়েছে বলে ক্রেতা সূত্রে জানা গেছে। তবে বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর কদর বেশী দেখা যাচ্ছে। উপজেলার কয়েকটি গরুর হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গরুসহ বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদকে সামনে রেখে দাম ভালো পাওয়ার আশায় খামারিরা বড় গরু হাটে নিয়ে আসলেও চাহিদা বেশি রয়েছে ছোট ও মাঝারি ধরণের গরুর। চরফ্যাশন সদর, দুলার হাট, শশীভূষণ ও দক্ষিণ আইচা থানায় ঈদ-উল আযহা চেয়ারম্যান হাট, ভূঁইয়ার হাট, আবুগঞ্জ, কেরামতগঞ্জ, মাঝিরহাট, বাবুর হাট, কাশেমগঞ্জ, জনতা বাজার, শিবারহাট, ঘোষেরহাট, হাজিরহাট, বজলু বাজার, চরলিউলিন, বাংলা বাজার, জলিল বেপারীর হাট, কুকরি মুকরি বাজার, ঢালচর বাজার উল্লেখযোগ্য। দক্ষিণ আইচা বাজারের গরু হাট ইজারাদার মো.অশ্রাফউদ্দিন সবুজ মুন্সি বলেন, প্রতিটি বকনা আকার ভেদে ৫০-৮০ হাজার এবং ষাঁড় ২-৪লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতীয় গরু না আসায় গরুর মূল্য তুলনা মূলক বেশী। কেমাতমগঞ্জ বাজার গরু ক্রেতা আবদুল কাইয়ুম বলেন, আমি এবার ৭৭হাজার টাকা দিয়ে গরু ক্রয় করছি। এই গরু গত বছর ক্রয় করা হয়েছে ৬৫হাজার টাকায়। খামারী আলী হোসেন বলেন, আমি মোট ২৩টি গরু এবার লালন পালন করেছি। ৪০হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে ৮২হাজার টাকায় বিক্রিয় করেছি। এদিকে মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কামাড়রা। চলছে দা, বটি, ছুরি,চাপাতি তৈরীর হিড়িক। কোরবানীর পশু জবাই, মাংশ কাটা, চামড়া ছাড়ানে ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে মুলত এসব যন্ত্রপাতির। দিন রাত শুধু টুং – টাং শব্দে মুখর। ধারালো এসব পন্য তৈরীতে ব্যস্ত এখন কামার শিল্পীরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল বশার বলেন, এ বছর উপজেলায় ১শ ৮৬ টি খামারে প্রায় ১ লাখ ১৮শ ২৩ টি গরু প্রতিপালন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে উপজেলায় চাহিদা রয়েছে প্রায় ১ লাখের মতো। কিন্তু তুলনা মূলক চাহিদার চেয়েও বেশি উপজেলায় গরু মজুদ আছে। ছোট গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বড় গরু নিয়ে খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, আমরা পশুর হাটের তালিকা চূড়ান্ত করেছি। প্রতিবছর উপজেলায় যে কয়টি হাটের অনুমোদন দেওয়া হয় এবারও সেরকমই হয়েছে। বাজারগুলোতে জাল নোট শনাক্তের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রোজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, এবার চরফ্যাশন উপজেলায় ৫১ হাজার ৪শত ৪২টি পশু কোরবানী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব পশু চরফ্যাশনের ১৮৩টি খামারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর বাইরে গৃহস্থলী এবং অন্য উপজেলা থেকে আসা পশু অতিরিক্ত যোগ হিসাবে থাকবে। তিনি আরও বলেন, অসুস্থ পশু চিহ্নিতকর




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com