ঢাকার দোহারের পর্যটন এলাকা মৈনট ঘাট ঘুরতে এসে পদ্মা নদীর পানিতে ডুবে বুয়েট শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন তার বড় ভাই হাসানুজ্জামান। শুক্রবার রাতে দোহার থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় সানির সাথে মৈনটে ঘুরতে আসা আটককৃত ১৫ বন্ধুকে গ্রেফতার দেখিয়েছে দোহার থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল। মারা যাওয়া তারিকুজ্জামান সানি (২৬) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বাসিন্দা হারুন-উর-রশিদের ছেলে। জানা যায়, সানি ঢাকার হাজারীবাগে থাকতেন। ওসি মোস্তফা কামাল জানান, লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, সানি তার ১৫ জন বন্ধুর সাথে বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মাপাড় মৈনট ঘুরতে আসেন। পদ্মাপাড়ে রাখা একটি ড্রেজার মেশিনের ওপরে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান সানি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হলে রাত থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস প্রধান কার্যালয় ও দোহার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডুবরি দল। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সানির সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মৈনট ঘাট থেকে নিখোঁজ ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। দোহার চরমাহমুদপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো: সামসুল আলম মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, তাদের সন্দেহ এটি একটি হত্যাকা-। শুক্রবার রাতে মৃতের বড় ভাই হাসানুজ্জামান দোহার থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার সকালে আসামিদেরকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ১৫
রিঅ্যাকশন নয় এখন থেকে অ্যাকশন : গয়েশ্বর
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘অনেকে বলছেন বাংলাদেশের অবস্থা নাকি শ্রীলঙ্কার মতো হবে। কিন্তু আমি তা বিশ্বাস করি না। এমনও তো হতে পারে, বাংলাদেশে যে ধরনের ঘটনা ঘটবে তখন মানুষ শ্রীলঙ্কার ঘটনা ভুলে যাবে। আর কোনো রিঅ্যাকশন নয়, এখন থেকে অ্যাকশন।’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অধিকার আদায়ে কথা বললে জেলখানায় নেবেন? নিতে পারেন কিন্তু আপনারাও সেই জেলখানায় যেতে পারেন কি না একটু ভাবেন। লোকে বলে আপনারা নাকি আন্তর্জাতিক আদালতে হাজিরা দিতে চান- সেখানে হাজিরা দিলে মানুষ বলে কি না কি হয় আমি তা জানি না।’ গতকাল শনিবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবদল ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে। যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনী হত্যার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যেতে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করছে না বিএনপি। এই সরকারকে কিভাবে বিদায় করা যায় বিএনপি সেই ইশতেহার তৈরি করছে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কি করবে বা কি করছে তা নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। জাতির মাথাব্যথা একটাই- তাড়াও এ সরকারকে, বাচাঁও দেশ, জনগণের বাংলাদেশ। তাই নির্বাচন শব্দটা মুখে আনবেন না, নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা নয়। এই দেশে নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।’ ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ।