চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবাসিক হলের মেয়েদের রাতের মধ্যে হলে ঢোকার নির্দেশনা দিলে সেটা নিয়ে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন তারা। একপর্যায়ে বুধবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের প্রবেশ পথ আটকে অবস্থান নেন ছাত্রীরা। শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিসহ প্রকার স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৪ দফা লিখিত দাবি পেশ করেন।
তাদের দাবিগুলো হলো- ১. শিক্ষার্থী নির্যাতনকারীদের বিচার করা ২. বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ৩. অকার্যকর যৌন নিপীড়ন সেল সংস্কার করে কার্যকর করা। ৪. রাত ১০টার পরে হলে প্রবেশের যেই নির্দেশনা তা বাতিল করা। এদিকে আন্দোলন থামাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান এসে প্রথমে দাবি মানার মৌখিক আশ্বাস দিলেও ছাত্রীরা না মানায় লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। সেখানে তিনি লিখিতভাবে চার কার্যদিবসের মধ্যে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত, আর তা না করতে পারলে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে হলে ফিরে যান ছাত্রীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ই জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার ছেলে বন্ধুসহ প্রীতিলতা হলের সামনে দিয়ে হেঁটে বেগম খালেদা জিয়া হলের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচজন এসে তাদের পথরোধ করে। বন্ধুকে মারধরের পাশাপাশি ওই ছাত্রীকে হেনস্থা শুরু করেন তারা। এক পর্যায়ে তারা ওই ছাত্রীকে পাহাড়ের পাদদেশে টেনে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তাদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ও ৩ হাজার ৭০০ টাকা কেড়ে নিয়ে তারা চলে যান। এই ঘটনার পরের দিন ওই ছাত্রী প্রক্টরের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে সেখানে উপস্থিত থাকা ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল হক রুবেল সম্মানহানির দোহাই দিয়ে অভিযোগ জমা দিতে মেয়েটিকে বাধা দেন। এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিত-া হয়।