শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
খেলাধুলার মাধ্যমে মাদককে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে-মাফরুজা সুলতানা মাইলস্টোন কলেজে নবম শ্রেণির বালিকাদের অংশগ্রহণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ  ‘বিবেচনায় রয়েছে’: বদিউল আলম ১৬ বছর বঞ্চিতদের এবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বইমেলয় স্টল বরাদ্দের দাবি ইসির অগাধ ক্ষমতা থাকলেও প্রয়োগে সমস্যা ছিল: বদিউল আলম আমাদের শিক্ষা কর্মসংস্থান খোঁজার মানুষ তৈরি করছে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা সেন্টমার্টিন: ‘স্থানীয়দের জীবিকা বনাম পরিবেশ রক্ষা’ আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগবে: মির্জা ফখরুল

নাই কথাটা তিনি কখনও বলতেন না, মায়ের স্মৃতিচারণে প্রধানমন্ত্রী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২

আমাদের দেশের নারী সমাজকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের আদর্শ ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নাই কথাটা আমার মা কখনও বলতেন না। কিছু ফুরিয়ে গেলে বলতেন, এটা শেষ হয়ে গেছে, আনতে হবে। যখন যেভাবে যে অবস্থায় থাকতেন সেই অবস্থায় তিনি চলতেন এবং আমাদেরও সেভাবে চলা শিখিয়েছিলেন।’ গতকাল সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবার জীবনে আমার মায়ের অবদান অনেক বেশি। রাজনৈতিক জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমার মা কিন্তু সব সময় বাবার পাশে থেকেছেন। মা ছিলেন বাবার ছায়াসঙ্গী। তিনি আমার বাবার আদর্শটা ধারণ করেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক প্রয়োজন, কোনও চিকিৎসা পারপাসে বিনা দ্বিধায় নিজের টাকা খরচ করতেন আমার মা। অনেক সময় অনেক নেতাকে সহযোগিতা করতে গিয়ে নিজের গহনা বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকাও তিনি দিতেন।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমার বাবাকে কখনও এটা চাই-ওটা চাই বলে বিরক্ত করেননি। কারাগার থেকে বাবা যখন বলতেন, তুমি কীভাবে চালাচ্ছ আমি বুঝি না। তিনি বলতেন, তোমাকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে না। এটা আমার ওপর ছেড়ে দাও। আমি দেখবো। সব দায়িত্বগুলো তিনি কিন্তু হাতে নিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মা জানতেন বাবা সবসময় এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এই উপলব্ধি থেকেই কিন্তু সবসময় পাশে থেকে তাঁকে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন। একজন স্ত্রী হিসেবে তিনি কোনও কিছু দাবি করতেন না; বরং আব্বার যখন কোনোকিছু প্রয়োজন হতো, তাঁর সবকিছু তিনিই দেখতেন।’ তিনি বলেন, ‘সংসারে সবকিছু খুব নিয়মমাফিক করতে হতো। মাসিক বাজার কী হবে, সেই হিসাবটাও মা লিখে রাখতেন। আমার মায়ের সেই হিসাব লেখার একটি খাতাও কিন্তু আমার কাছে আছে। সেখানে সংসার খরচের খুঁটিনাটি সুন্দরভাবে লেখা আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও আমার মা যেসব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটাই কিন্তু আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জনে সব থেকে সহায়ক হয়েছে। ৬ দফা বাদ দিয়ে যদি আওয়ামী লীগ ৮ দফায় চলে যেত, তাহলে কখনও এ দেশের মানুষের মুক্তি আসতো না। ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও আমার মায়ের মতামতই গুরুত্ব পেয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৪-এ আমার আব্বা খাদ্য সচিবকে দিয়ে খোঁজ নিলেন কোন গুদামে কত চাল আছে। তারপর নগদ টাকা দিয়ে চাল কেনা হলো। কিন্তু আমেরিকা সেই চাল আসতে দিলো না। জাহাজ আটকে দিলো। ৭৪ এর দুর্ভিক্ষটা অনেকটা মনুষ্যসৃষ্টি বলতে হবে।’ ‘রাষ্ট্র চালানোসহ নানা বিষয় আমার মা খেয়াল করতেন এবং বাবাকে পরামর্শ দিতেন। শুধু সংগ্রামের ক্ষেত্রে নয় প্রতিটি ক্ষেত্রে আমার মায়ের দৃষ্টি ছিল,’ বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার আব্বার খুব সৌভাগ্য ছিল যে, আমার মায়ের মতো একজন জীবন সাথী পেয়েছিলেন। সেই সাথে আমার দাদা-দাদিকেও ধন্যবাদ জানাবো, আমার বাবা বড় ছেলে হলেও তার কাছে তারা পরিবারের জন্য তেমন কিছু প্রত্যাশা করেননি। আর এ কারণেই কিন্তু আমার বাবার পক্ষে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার মা ১৫ আগস্টও নিজের জীবন ভিক্ষা চাননি। নিজের জীবনটাও দিয়ে গেছেন। সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের নারী সমাজ যেন এই আদর্শটা ধারণ করেন। শুধু চাওয়া-পাওয়া আর বিলাসিতাই জীবন না। একটা আদর্শ নিয়ে চললে মানুষের জন্য অনেক অবদান রাখা যায়। এই আদর্শ নিয়েই মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন, সেটাই আমি চাই।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি এ সময় শৈশবের নানা স্মৃতিচারণ করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com