ঈদে মিলাদুন্নবী, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট ৫ দিনের ছুটি কাটাচ্ছেন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবিরা। আর এই ছুটিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। গত মঙ্গলবার বিকেল থেকেই সৈকতে এসব পর্যটকের আগমন ঘটতে শুরু করে। ইতোমধ্যে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল মোটেল বুকিং হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের তিন নদীর মোহনা থেকে গঙ্গামতি পর্যটন স্পট পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার বেলাভূমি জুড়ে রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। আগত পর্যটকরা জিরো পয়েন্টে সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেি তে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এছাড়া রাখাইন মার্কেট, শুটকি পল্লী, ইলিশ পার্ক ও ইকো পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটেও রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। এদিকে পর্যটকদের আনাগোনায় বিক্রি বেড়েছ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যটন স্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে মহিপুর থানা পুলিশসহ ট্যুরিষ্ট পুলিশের সদস্যরা। ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থেকে আসা পর্যটন বিনয় ভূষণ বলেন, ‘দুর্গা পূজা উপলক্ষে পরিবার পরিজন নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। বেশ আনন্দ উপভোগ করছি। তবে হোটেল ভাড়া একটু বেশি মনে হয়েছে। এছাড়া সৈকত একটু অগোছালো মনে হয়েছে।’ গাজীপুরের শ্রীরামপুর থেকে আসা অপর পর্যটক উত্তম শিকারী বলেন, ‘একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। আমি আমরা পাঁচ সহকর্মীর সঙ্গে এখানে এসেছি। আমরা অনেক আনন্দ করেছি। সৈকতের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়েছি। মোটামুটি সব কিছুই ভালো লেগেছে।‘
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, ‘৫ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত কুয়াকাটায় প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোর শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলের শতভাগ কক্ষ আজকের মধ্যে বুকিং হয়ে যাবে বলে আশা করছি। কুয়াকাটায় পর্যটক আগমনের ঢল নেমেছে। আমরা পর্যটকদের সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’ ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, পাঁচ দিনের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটবে কুয়াকাটায়। যে কারণে আগে থেকেই বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি ও মাইকিং করে বারবার মাস্ক পড়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ পর্যটকদের নিরাপদে থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’