গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বিরোধপূর্ণ মন্দিরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কীর্তন গানের আয়োজন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উভয় পক্ষের মাঝেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় উভয় পক্ষ জড়িয়ে পড়তে পারে সংঘর্ষে। যার ফলে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানাগেছে, উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের হরিনাহাটি গ্রামের সুদানন্দ সেবাশ্রমটি দীর্ঘদিন ধরে হরিমোহন বাড়ৈ রক্ষনাবেক্ষন করে আসছিলেন। বর্তমানে ওই সেবাশ্রমের নামে পরিবর্তন করে রাধাগবিন্দ জিউর মন্দির নাম দিয়ে এলাকার বিনয় বৈরাগী সেবাশ্রমটি দখলের পায়তারা করছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রীতি ওই সেবাশ্রমে বিনয় বৈরাগীর পক্ষ থেকে কীর্তন গানের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) থেকে ৩দিন ব্যাপী এই কীর্তন গান শুরুর কথা রয়েছে। এদিকে এই কীর্তন গান আয়োজনের কথা শুনে হরিমোহন বাড়ৈ ওই সেবাশ্রমে ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছেন। হরিমোহন বাড়ৈ বলেন, ১৫বছর আগে আমাদের পৈত্রিক জায়গায় আমার গুরু ঠাকুর সুদানন্দর নামে সেবাশ্রম গড়ে তুলে পূজা অর্চনা করে আসছি। হঠাৎ করে বিনয় বৈরাগী জোরপূর্বক এই সেবাশ্রমটির সাইনবোর্ড পাল্টিয়ে রাধাগবিন্দ জিউর মন্দির নাম দিয়েছেন। সে এই সেবাশ্রমটি নিজেদের বলে দাবি করছেন। সে জোরপূর্বক এখানে কীর্তন গানের আয়োজন করেছেন। আমি এই কীর্তন গানের বিপক্ষে ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছি। বিনয় বৈরাগী এই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কীর্তন গানের সাজসজ্জার কাজ করতেছে। এ বিষয়ে বিনয় বৈরাগীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হরিমোহন বাড়ৈ যে জায়গাটি নিজেদের বলে দাবি করছেন সেটি অর্পিত সম্পত্তি। আমরা এই অর্পিত সম্পত্তির উপর রাধাগবিন্দ জিউর মন্দির গড়ে তুলেছি। হরিনাহাটি গ্রামের সুভাষ মল্লিক ও প্রফুল্ল বৈদ্য বলেন, সুদানন্দ সেবাশ্রমের জায়গাটি হরিমোহন বাড়ৈ ও আমাদের পূর্বপুরুষদের। আমরাই সুদানন্দ সেবাশ্রম গড়ে তুলেছি। এই সেবাশ্রমে বেআইনি ভাবে বিনয় বৈরাগী সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। গৃহিনী উষা বৈদ্য বলেন, শুক্রবার থেকে এখানে কীর্তন গান শুরু হলে নিশ্চিত মারামারি হবে। আমরা এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছি। আমরা চাই প্রশাসন যেন এই কীর্তন গান বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কোটালীপাড়া থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথা আমি সরেজমিনে গিয়ে উভয় পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।