দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের বদরুল আলম বুলু একজন ডিপ্লোমা কৃষিবিদ। তিনি টপ লেডি পেঁপে চাষ করে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় ৩ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করবেন তিনি। উপজেলার খোদাদপুর এলাকায় একটি গোরস্থানের পরিত্যক্ত উচু তিন বিঘা লাল মাটিতে একটি পেঁপে বাগান তৈরি করেছেন কৃষিবিদ বুলু। বাগানে ৬০০ টি হাই ব্রিড টপ লেডি পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিটি গাছে প্রচুর পেঁপে ধরেছে। পেঁপের ভরে হাছগুলো নুয়ে পড়ার উপক্রম। তিন মাস হয়েছে বাগান করা। আর মাসখানেক পর কাঁচা পেঁপে বাজারজাত করতে পারবেন। তবে পেঁপেগুলো পাকতে আরও তিন মাস মতো সময় লাগবে। দাম বেশি পাওয়া ও ভাল ফলন পেতে আরও তিন মাস অপেক্ষা করবেন তিনি। টপ লেডি পেঁপে বাগান তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। বাগানটি থাকবে প্রায় তিন থেকে চার বছর। প্রথম বারের মতো এবার প্রায় তিন লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করবেন এই বাগান মালিক। বর্তমান ১৫ থেকে ২০ দিন পরপর বাগানে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। বদরুল আলম বুলু একজন ডিপ্লোমা কৃষিবিদ। চাকুরি না করে কৃষি কাজ করে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই কৃষিবিদ একজন ধান বীজ উৎপাদক। তিনি কন্টাক্ট গ্রোয়াস বি এ ডিসি , অটো ক্রোপ কেয়ার, সুপ্রিম সীড কোম্পানি ও সিনজেন্টা ইত্যাদি কোম্পানিতে বীজ ধান উৎপাদন করে সরবরাহ করে থাকেন। তার নিজেস্ব প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে ধান বীজ চাষ করেন। ডিপ্লোমা কৃষিবিদ বদরুল আলম বুলু বলেন, কৃষি বিষয়ে লিখাপড়া করেও আমি কোন চাকুরি করেনি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজে কৃষি কাজে মনযোগী হয়েছি। নিজেস্ব জমিতে টপ লেডি পেঁপে সহ বীজ ধান চাষ করি। এই ধান বীজ আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে থাকি। আমি ৬ বিঘা জমির উপর বরই, কমলা ও ড্রাগনের বাগান করেছি। এছাড়াও যে পেঁপে বাগান তৈরি করেছি আশা করছি এবছরি তিন লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করবো। প্রথম বারি খরচ এক লাখ টাকা তুলে দুই লাখ টাকা লাভ হবে। আমি নিয়মিত উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করে আসছি এবং কৃষি অফিসের পরামর্শ গ্রহন করি। আমাকে উনারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার এখলাছ উদ্দিন সরকার বলেন, উপজেলায় প্রায় ৩ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পেঁপে চাষ হচ্ছে। খোদাদপুর এলাকায় বদরুল আলম বুলু নামের এক ব্যক্তি একটি টপ লেডি হাই ব্রিড জাতের পেঁপে চাষ করছেন। বাগানে পর্যাপ্ত পেঁপে ধরেছে। পেঁপে বাগানটি দেখে অনেকেই উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে। প্রতিনিয়ত আমরা পরিদর্শন করে আসছি।