৫ এপ্রিল, দ্য গার্ডিয়ান : নিউ জিল্যান্ডে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৩৯ জন। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল রবিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৮৯ জন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদ্যমান লকডাউন উপেক্ষাকারীদের নির্বোধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অরডার্ন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে নিউ জিল্যান্ডে লকডাউন চলছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরমধ্যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)-তে রয়েছে তিন জন।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অরডার্ন জানান, লকডাউনের মধ্যে নতুন সংক্রমণের হার কমেছে। যারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একসঙ্গে বাস করে না তাদের জন্য কর্তৃপক্ষ স্বতন্ত্র নির্দেশনা জারি করেছে।
সেলফ আইসোলেশন বা স্ব-বিচ্ছিন্নতার নীতিগুলো আগে স্পষ্ট ছিল না। এক্ষেত্রে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দেশটির জনগণকে ‘সাধারণ জ্ঞান প্রয়োগের’ পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে সামাজিক গোষ্ঠীগুলোকে আপাতত ভাগ করার কথা বলেছেন তিনি। সেক্ষেত্রে একই গোষ্ঠী থেকে একেবারে কাছের কয়েকজনকে নিয়ে আলাদা আলাদা ছোট গোষ্ঠী তৈরি হবে। দৃশ্যত এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের বোঝানো হয়েছে। মাসখানেকের জন্য এটা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অরডার্ন।
স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অরডার্ন। এ সময় তিনি যারা লকডাউন মেনে চলছে তাদের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে লকডাউন অমান্যকারীদের নির্বোধ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। তার ভাষায়, ‘এখনও কিছু লোক রয়েছে যাদের আমি করুণা করে নির্বোধ বলবো।’
বিদ্যমান চার সপ্তাহের লকডাউন বাড়ানোর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানান অরডার্ন। তবে শেষ পর্যন্ত এটি বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
গুগল ডাটার বরাত দিয়ে জেসিন্ডা অরডার্ন বলেন, নিউ জিল্যান্ডের মানুষ এই লকডাউন কঠোরভাবে মেনে চলছে। খুচরা কেনাকাটা ও বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড কমেছে ৯১ শতাংশ। প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে লোকজনের আগমন অর্ধেকে নেমে এসেছে। পার্কে বেড়াতে যাওয়ার হার কমেছে ৮০ শতাংশ।
জেসিন্ডা অরডার্ন বলেন, দেশে প্রথম একজন শনাক্তের পরই ২৫ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।