সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের আয়কর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা দেবেন বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। নবম ওয়েজবোর্ডে মন্ত্রিসভা কমিটির দুটি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের রুল যথাযথ ঘোষণা কওে গতকাল রবিবার (৬ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওর্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বে এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ড. কাজী আখতার হামিদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী দিদারুল আলম দিদার। আইনজীবী দিদারুল আলম দিদার জানান, নবম ওয়েজবোর্ড অনুসারে সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক ও সংবাদ মাধ্যম অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আয়কর প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা দেবেন বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আয়কর এবং গ্রাচ্যুইটির বিষয়ে মন্ত্রিসভার কমিটির সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। পাশাপাশি বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি নবমওয়েজবোর্ডে যে সুপারিশ করেছে তা বহাল থাকবে বলে রায়ে আদালত উল্লেখ করেছেন।
আইনজীবী আরও জানান, ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ড ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর মজুরি নির্ধারণ করে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশিত হয়। ওই ওয়েজবোর্ডে দেখা যায়, বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি যে সুপারিশ করেছে তার শেষে মন্ত্রিসভা কমিটি সুপারিশে দুটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। শর্তের মধ্যে ছিল সাংবাদিকদের আয়কর যার যারটা সে সে দেবেন। আর গ্রাচ্যুইটি দুটির স্থলে একটি পাবেন। মন্ত্রিসভার এই শর্তের বিধান চ্যালেঞ্জ করে বাসস এমপ্লোয়ি ইউনিয়নের সেক্রেটারি মাহবুবুজ্জামান ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। দীর্ঘদিন পর শুনানি শেষে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন হাইকোর্ট।