ত্বকের সঠিক যত্ন এবং সঠিক লাইফস্টাইলই পারে আপনার ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই আমাদের ত্বক সূর্যের আলো আর দূষণের মুখোমুখি হয়, যা ত্বকে অকালে বার্ধক্য নিয়ে পারে। স্ট্রেস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার অভ্যাসের কারণে সহজেই ত্বকের ভালো কোষগুলো নষ্ট করতে পারে। যথাযথ যত্ন এবং লাইফস্টাইলের পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজেই ত্বকের বার্ধক্যের প্রক্রিয়াটি ধীর করা যায়। ত্বককে সুস্থ এবং তরুণ রাখার ছয়টি সাধারণ নিয়ম প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ত্বককে রোদের হাত থেকে বাঁচান: সূর্যের ইউভি রশ্মিগুলোর এক্সপোজার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। হাইপারপিগমেন্টেশন, সূর্যের দাগ, বলিরেখা বা ফ্রিকল আকারে ত্বককে বুড়িয়ে দিতে পারে। এটি প্রতিরোধ করতে বাইরে বেরোনোর আগে সব সময় ৩০ এসপিএফের উপরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
ভিটামিন ই এবং সি সমৃদ্ধ খাবার খান: এই ভিটামিনগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ত্বকের কোষের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যাল রোধ করতে সহায়তা করে। এগুলো ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং নমনীয়তা উন্নত করে। বাদাম, দুগ্ধজাত খাবার, বীজ, উদ্ভিজ্জ তেল, সবুজ শাকসবজি, সাইট্রাস ফল, চিলিস, কিউইস এবং লেবু জাতীয় খাবারে এই ভিটামিন পাওয়া যায়।
চাপ কমান: আপনি যখন চাপের মধ্যে থাকেন তখন আপনার ত্বক এবং চুল সরাসরি এর শিকার হয়। এমন কিছু করুন যা আপনার মনকে শান্ত করে। ধর্মীয় প্রার্থনা, শরীরচর্চা এক্ষেত্রে উপকার করবে। পাশাপাশি শখের কাজগুলোও করতে পারেন। তাতে আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমবে।
মেকআপ পরিষ্কার: যতটা সম্ভভ মেকআপ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। কখনো মেকআপ করলে তা পরিষ্কার করে তবেই ঘুমাতে যান। মেকআপ পরিষ্কার না করে ঘুমাতে গেলে তা ত্বকে বলিরেখার কারণ হতে পারে। ত্বক পরিষ্কার থাকলে এই সমস্যা দূরে রাখা যায়।
আর্দ্রতা: গোসল সেরে বের হওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। গ্লিসারিন, খনিজ তেল বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদানযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করুন, যা ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
হাইড্রেটেড থাকুন: আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড, কোমল এবং মসৃণ রাখতে দিনে কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করুন। ডিহাইড্রেশন রিঙ্কেল এবং বলিরেখা ডেকে আনতে পারে।