নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ব্যাপক ভাবে সরিষার আবাদ করেছেন কৃষকরা। ফসলের মাঠগুলোতে এখন সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে বিরাজ করছে থোকা থোকা হলুদ ফুলের দৃষ্টিনন্দন মনো মুগ্ধ কর দৃশ্য। সরিষার ফুল আকৃষ্ট করছে গুরুদাসপুরসহ গোটা চলনবিলাঞ্চল মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে। এবছর শরিষাসহ ভোজ্য তেলের দাম বেশি থাকায় বাড়তি লাভের আশায় কৃষকরা শরিষা চাষ বেশি করেছেন। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে চলতি মওসুমে এ অঞ্চলে লাভ জনক সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সরোজমিন গিয়ে দেখাগেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার বিলশা, রুহাই,বামনবাড়িয়া এবং পাশের তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল,কামারশোন এলাকার যেদিকে দৃষ্টি যায় শুধু সবুজের ফাঁকে হলুদের সমাহার। রাস্তার ধারে কিংবা ফসলের মাঠে সবুজের মাঝে চোখ ধাঁধানো হলুদ ফুল আর ফুল। ফুলের বিস্তীর্ণ মাঠে দূরন্ত শিশুরা মেতে উঠছে নানা রকমের খেলা ধূলায়। এছাড়াও পোকা-মাকড়সহ বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সরিষার মাঠগুলোতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এদিকে বিস্তীর্ন দিগন্তজুড়ে হলুদের গালিচার সেই অপরুপ দৃশ্য উপভোগ ও ক্যামেরা বন্দি করতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত বিনোদন প্রেমীরা আসছেন গুরুদাসপুরসহ চলনবিল অঞ্চলে। ফলে চলনবিলের মাঠ যেন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শরিষা ফুলের সাথে লক্ষ লক্ষ মৌমাছির গুঞ্জনে মহিত পুরো চলনবিলের মাঠ। এসুযোগ কাজে লাগাতে মৌ চাষিরা খেতের পাশেই মৌবাক্সে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের রুহাই গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন জানান,স্বল্প সময়ে এ ফসল ঘরে তুলে একই জমিতে বোরো ধান চাষ করা যায়। একারেন আমরা শরিষা চাষ করে থাকি। এ বছর তিনি ৬ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। সরিষার গাছ যে সুন্দর দেখা যাচ্ছে তাতে কীট-পতঙ্গের আক্রমন না হলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে। গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ জানান, সরিষার আবাদের পরই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা যায়। অল্পসময়ে ২টি ফসল ঘরে ওঠে বলে কৃষকের শরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এবছর উপজেলায় ৭শত ৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে।